ঢাকারবিবার , ২২ নভেম্বর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সার্ভারে ত্রুটির কারণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তরের ৪৮৪টি ওয়েবসাইট বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২২, ২০২০ ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর, অধিদফতরের ৪৮৪টি ওয়েবসাইট বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। ভিজিটর ও কন্টেন্ট আপলোড বেড়ে যাওয়ায় সার্ভারের ত্রুটির কারণে এসব ওয়েবসাইট বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, সার্ভার সম্প্রসারণের কারণে অনেকগুলো ওয়েবসাইট দেখা যাচ্ছে না। তবে অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অতি সংবেদনশীল বিভিন্ন সরকারি দফতরের ওয়েবসাইটগুলোর সার্ভারেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এটুআইর কর্মকর্তাদের তড়িৎ পদক্ষেপে আপাতত সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট খুলেনি। এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মান্নান ইনকিলাবকে বলেন, সার্ভার সম্প্রসারনে কারণে অনেকগুলো ওয়েবসাইট দেখা যাচ্ছে না। তবে অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। আমরা সমস্যা সমাধনের চেষ্টা করছি।

জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রতিটি সরকারি অফিসের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল ২৪ হাজার ওয়েবসাইট। উদ্দেশ্য ছিল সরকারি সব কার্যক্রম সম্পর্কে সার্বক্ষণিক আপডেট থাকা এবং জনসাধারণকেও তাৎক্ষণিকভাবে হালনাগাদ কাক্সিক্ষত তথ্য দেয়া। অথচ অধিকাংশ ওয়েবসাইটই ভুল তথ্যে ভরা, হালনাগাদও হচ্ছে না বছরের পর বছর।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর-অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের সমস্যা অনেকটাই ঠিক হয়ে গেছে। তবে এখনো দফতর-অধিদফতর ও সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী যে তথ্যগুলো স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রকাশ করার কথা, সেগুলোই নেই। তাছাড়া দফতরের কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ, কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য, বিভিন্ন সভার কার্যবিবরণী, উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য, সুবিধাভোগীদের তালিকা এগুলোও নেই অধিকাংশ ওয়েবসাইটে। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অধিকাংশ ওয়েবসাইটই পুরোনো তথ্যে ঠাসা। এতে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন সঠিক তথ্যপ্রাপ্তির ন্যায্য অধিকার থেকে। সরকারি সেবার বিভিন্ন তথ্য সাধারণ মানুষ অবাধে না জানার ফলে মাঠপর্যায়ে দুর্নীতিও বাড়ছে। একইভাবে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদফতরের ওয়েবসাইটগুলোতেও প্রয়োজনীয় তথ্য মিলছে না। কিছু বিষয় শুধু ইংরেজি ভাষায় তৈরি হওয়ায় অনেক ব্যবহারকারী সহজে ব্যবহার করতে পারছেন না। তথ্যপ্রযুক্তির যুগেও বিপুল অর্থ ব্যয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রতিবেদন ও প্রকাশনা বিজি প্রেসে ছাপানো হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। অথচ করোনা শুরুর পর থেকে সাধারণ মানুষ অনলাইনে সক্রিয় হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও অনলাইনে সক্রিয়ভাবে অফিস পরিচালনা করছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।