অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা প্রথমে গুলি করেছেন মর্মে এসআই লিয়াকত আত্মপক্ষ সমর্থনে যে কথা বলেছিলেন তা সত্য নয় বলে জানা যায় র্যাবের তদন্তে। কারন কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের হাতে ঘটনার সময় কোনো অস্ত্রই ছিলো না। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে আজ নতুন তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম এই তথ্য জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।
র্যাবের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন আজ ১৭ আগস্ট, সোমবার সকালে হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য যান । এসময় তিনি আরও জানান পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে র্যাব বিব্রত নয়।
গত ৩১শে আগস্ট, কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় মেজর সিনহার গাড়ি যখন শামলাপুর চেকপোস্টে থামানো হয়, তখন গাড়ি থেকে নেমে হাত তুলে, হাঁটু গেড়ে বসেন তিনি, হাতে ছিল না কোনো অস্ত্র বলে জানান নতুন তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম। এসআই লিয়াকত গুলি করার সময় মেজর সিনহার হাতের অবস্থান র্যাব মহাপরিচালককে দেখান মামলার এই তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে যে ড্রাম ব্যবহার করে গাড়ির গতিরোধ করা হয় এবং গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিনহার দেহ কোথায় পড়েছিল তাও দেখানো হয়। মামলার তদন্ত প্রধান মহাপরিচালককে আরও জানান যে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ পরিচালনা করে তাদের মনে হয়নি যে গাড়িটি কেউ তাড়া করছে।
পরিদর্শন শেষে উপস্থিত গনমাধ্যমকে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “তদন্ত ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হত্যা মামলা তদন্ত করতে তারা বিব্রত নন।”
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, এখানে সব কিছু আমরা খুঁটিয়ে দেখছি। যে সকল তথ্য পাচ্ছি প্রতিটি তথ্য নিয়ে তদন্ত করছি। সব কিছুই জানতে পারবেন।”