২৫ সেপ্টেম্বর সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত ছয়জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ৬ জন হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমেদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।
তাদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ১লা অক্টোবর সকালে তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার জোতির্ময় সরকার জানিয়েছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ধর্ষিতা ও তার স্বামী তাদের গাড়িতে ছিলেন, যখন ধর্ষণকারীরা তাদেরকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় যেখানে তারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী পরদিন ছয়জনের নাম উল্লেখ করে নয় জনের বিরুদ্ধে শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
এই ঘটনা ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রত্যেকে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছিল।
আসামিদের মধ্যে আটজন বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চার সদস্যের বিচারিক তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে বৈঠক করেছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মহম্মদ বজলুর রহমান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুমিনুন নেছা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন নেছা।