ঢাকাসোমবার , ১২ অক্টোবর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আশাহত

মিজানুর রহমান মিজান।
অক্টোবর ১২, ২০২০ ১০:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রতিটি মানুষ জন্মের পর থেকে কত বিচিত্র আশা-আকাঙ্খা, সাধ-আহলাদ মনের মণি কোটায় ধারণ করে এ অবিনশ্বর পৃথিবীর বুকে কুসুমাস্তীর্ণ পথ চলায় বিভিন্ন প্রকারে আশাহত বেদনায় বিদুরিত হয়। তার হিসেব মিলানো অনেক কষ্ট সাধ্য। আবার কেহবা আকাঙ্খা বাস্তবায়নে অতি উৎসাহে আনন্দ উল্লাসে জীবন সুখময় আনন্দে উদ্বেলিত। কিন্তু প্রত্যেকটি মানুষ সন্তানকে লালন করে ভবিষ্যত বংশধর হিসেবে তার আত্মার মাগফেরাত ও অন্তিম কালে সহযোগিতা, সহমর্মিতার প্রত্যাশায়। তাছাড়া সন্তানের প্রতি ভালবাসা প্রকৃতি প্রদত্ততায় সহজাত প্রবৃত্তি বলে জ্ঞাত। এখানে নেই কৃত্রিমতা। আছে স্নেহ, আদর মাখা সোহাগ মিশ্রিত জীবন উৎসর্গ। একজন পিতা অকাতরে বিলিয়ে দেয় সন্তানের জন্য সকল কিছু উজাড় করে, থাকে না কোন রুপ চাওয়া-পাওয়া। কিন্তু সন্তান থেকে যদি পিতা হয় বঞ্চিত?সেক্ষেত্রে পিতৃ-হৃদয়ের হাহাকার শুন্য হৃদয়ের আর্তি কত বেদনাদায়ক, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তপ্ত মরুভুমির ধূ ধূ প্রান্তরে থাকে না সবুজের সমারোহ। ক্ষেত্র বিশেষে মানুষের প্রচেষ্টায় অনেক সময় হয় পরিবর্তন। পায় সজীবতা, পেলবতা, সবুজ শ্যামলিমায় হয়ে উঠে ভরপুর। এখানে চাই মানুষের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা পূর্ণ প্রীতি, ভালবাসাসহ সদিচ্ছা।মানুষের যৌবন কাল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও মুল্যবান। এ সময় মানুষ যৌবনের প্রারম্ভিক উচ্ছ্বল, উচ্ছ্বাস, প্রেরণায় অনুপ্রাণিত। সত্যিকার মানুষ যারা সফলতার কাঙ্খিত ফসল সংগ্রহ করতে চায় বা অনুপ্রাণিত হয়ে আনন্দ বেদনার পাশাপাশি একটা সুস্থ, সুন্দর পরিবেশ, সমাজ, সামাজিকতা গঠনের অঙ্গিকারে দৃপ্ত পদক্ষেপে হয় অগ্রসর। কিন্তু এ শ্রেণির মানুষের দীর্ঘশ্বাসে বাতাস হয়ে উঠে ভারী অধিকাংশ সময় বা ক্ষেত্রে। “গাধার বোঝা বহনই সার” এরুপ তথ্যে ও তত্ত্বে জীবন ক্ষয়িষ্ঞতায় পরিপূর্ণতা পায়। ওদের জীবনে একটা নেই নেই এবং হতাশার বড় সকরুণ সুর ধ্বনিত প্রতিধ্বনির মত ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

বৈচিত্রময় পৃথিবীর বুকে বিচিত্র চিন্তা চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে মানুষ জীবন ব্যয়িত করে। হাসান পিতামাতার এক মাত্র পুত্র সন্তান হয়ে ছয় বোনের লেখাপড়া, মান-মর্যাদাসহ বিভিন্ন সামাজিকতায় সুন্দর, সুচারু ও সুষ্ঠু নৈতিকতায় দীক্ষা লাভের আশায় আত্ম-নিয়োগ করে পারিবারিক গন্ডির উৎকর্ষতায়। কিন্তু এ পথ কত বন্ধুর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও পিছপা হবার পাত্র নয় হাসান। দীপ্ত পদক্ষেপে উন্নত মন মানসিকতায় এগিয়ে চলে পারিবারিক বন্ধন অটুটত্বের সুস্পষ্ট স্বাক্ষর চিরজাগরুকের প্রত্যয়ী প্রত্যাশায়। সম্পূর্ণ নিজ প্রচেষ্টায় লেখাপড়ার পাশাপাশি বোনদের সাধ্যমত দীক্ষাদানের ক্ষেত্র তৈরীসহ বৃদ্ধ পিতামাতার সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা, সহমর্মিতা দানে কষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যে আত্ম-নিয়োগ করে। সুফল যথা সাধ্য বয়ে আনে। দায়িত্ববোধে সচেতন হাসান এর ঐকান্তিক পিতামাতা, বোন, স্ত্রী-সন্তান সবার প্রতি সমতাভিত্তিক।

জীবিকার্জনের অবলম্বন হিসেবে ছোট একটি ব্যবসা নিয়ে ভোর ছয়টা থেকে রাত নয়/দশটা পর্যন্ত থাকে কর্মে নিয়োজিত। ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদন, হাত, মুখ ধুয়ে ব্যবসায় রওয়ানা হবার প্রাক্কালে এক কাপ চায়ের প্রত্যাশায় ঘরময় চোখের চাহনী প্রসারিত করে প্রাপ্তির মনোভাবে।দৃষ্টিতে বন্দি হয় বৃদ্ধা মায়ের দু’টো হাত নামাজান্তে উনুনে চড়িয়েছেন হাড়ি চা তৈরীর নিমিত্তে। হাসানের হৃদয় পিঞ্জর, আত্মাটা উঠে শিউরে যে সময় মা বসে এক কাপ চা পান করার কথা, সে সময়ে তীব্র শীতের মধ্যে চা তৈরী করে পানের দৃশ্য। স্ত্রী-কে ডেকে উত্তোলনে ব্যর্থ হয়ে বিনা চা পানে কাজে যোগদানের নিমিত্তে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। বিবেকবোধ বাঁধা প্রদান করে হাসানকে মায়ের সারা জীবনের কষ্টময় দিন যাপনে আজ অতি বৃদ্ধ কালেও মা-বাবাসহ নিজে চা পান করতে। যে মা দিনভর অমানবিক তথা অন্যের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে হাসানকে লালন পালন করেছেন, বড় করেছেন নিজে না খেয়ে। সেই মায়ের বিশ্রম নেই, ছুটি নেই, নেই কাজের পরিসমাপ্তি। যে মা রোগাক্রান্ত থেকেও বিনা কাজে বসতে অভ্যস্ত নয়।সামর্থহীন নি:শেষিত জীবনে এসেও গ্রামের মায়েরা কাজ বিহীন বসা স্বভাবে বিলীন।রক্ষ্য করলে নিশ্চিত ধরা পড়বে মায়েরা এটা ওটা করছেনই। হাসানের চেতনায় বার বার উত্থিত হয় মায়ের কষ্ট মাখা মুখটির স্থির অবয়ব।

আধুনিক স্ত্রীর উদ্দেশ্য হল যদি সম্ভব হত কেহ ওর মুখে চারটি ভাত তোলে দিত, তাহলে জগতের সমস্ত চাওয়া-পাওয়ায় চরম উদ্বেলিত হতেন। কি পরিমাণ কাজের চাপ বর্তমানে প্রত্যেক পরিবারে তা বিজ্ঞজন জ্ঞাত।নেই পূর্বের মতো মরিচ বাটা, হলুদ বাটা ইত্যাদি। যে স্ত্রী স্বামীকে এক কাপ চা তৈরী করে হাতে তুলে দিতে অক্ষম।সে স্বামীর কাছ থেকে ভালবাসা প্রাপ্তিটুকু কি পরিমাণ নিখাদ তা বলা বাহুল্য।কারন পূর্বেকার দিনে গ্রামের বধুরা স্বামীকে এক খিলি পান মুখে তুলে বা এক কাপ চা দিয়ে তৃপ্ত হতেন অকৃত্রিম ভালবাসা পূর্ণতায় স্বামী সোহাগী রুপে। কিন্তু বর্তমান সময়, সমাজ ও সামাজিকতায় কৃত্রিমতা মিশ্রণে ভালবাসা প্রত্যাশিত কতটুকু সোহাগী তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।মাতাপিতার কথা বাদ দিলে ও স্বামীর প্রাপ্তি পুরণে অক্ষমতা নয় কি?এ জগতে আদি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রখ্যাত ব্যক্তিরা কাজ করেই হয়েছেন জগৎখ্যাত। এক্ষেত্রে বিন্দু বিসর্গ ব্যতিক্রম নেই। যা চরম সত্য ও প্রত্যক্ষ নিরেট সাফল্যের চাবিকাঠি। কিন্তু কর্ম বিমুখতা যদিও আরামদায়ক দৃশ্যত। কার্যত কিন্তু অন্তরে ধিকি ধিকি আগুনের লেলিহান শিখা প্রজ্জলিত উজ্জলতায় ভাষ্কর।এখানে প্রতিহিংসা বা বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবেরই পরিচায়ক। এ মনোভাব কারো ও কোন কালে কাম্য হতে পারে না। সুখের পিছনে দৌড়াই আলেয়াকে ধরার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। কিন্তু বার বার হই প্রত্যাখাত। কারন কর্ম বিহীন কিছুই সংগ্রহ করা সম্ভব নয় এ ধরণীর নাট্য মঞ্চে। স্ত্রী-কে কিছু বললে হবে নারী নির্যাতন। আর মায়ের মুখখানা মলিন দেখে না দেখার ভানে হবে আল্লাহর কাছে মহাপরাধী।যে মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে দু:সহ যাতনা ও বেদনা সহ্য করে প্রসবকালীন সীমাহীন কষ্ট সহ্যে নিজের জীবন বিপন্ন করে, তিলে তিলে যৌবনের দ্বার প্রান্তে এনে দাড় করালেন, সেই মায়ের কষ্ট স্বচক্ষে দর্শনে কি হৃদয় ও বিবেকবোধে বাঁধবে না? কোনটি করণীয় দ্বিধা-দ্বন্ধে ভোগে অবস্থা দৃষ্টে।স্ত্রী-কে বুঝালে, তার মায়ের কথা বললে স্বামীর সামনে এটা ওটা করবে। অনুপস্থিতে ধারে কাছেও যাবে না, এ কোন নীতি, এ কোন নিয়ম? অন্যনুপায় হয়ে হাসানের দু’চোখের তপ্ত অশ্রু দু’গন্ড বেয়ে ঝরে অনবরত।

আমাকে অনেকে হয়তো ভাববেন বা অপবাদে করবেন জর্জরিত নারী বিদ্বেষী বলে, নারীর সমানাধিকারে ঈর্ষান্বিত। করজোড়ে বলছি আমি নারী বিদ্বেষী নই। আপনি কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন এ ধরনের ঘটনা কম বেশি আপনার দৃষ্টিতে দৃশ্যমান হয়নি।আমি সাত বোনের এক ভাই।সুতরাং নারীর সংখ্যাধিক্যতার সংস্পর্শ আমার কাছে অধিক। আমারই পরিচিত একজন প্রাইমারী শিক্ষক শিশুকালে মাকে হারিয়ে যৌবনে সহোদর তিন ভাই এবং সৎ মায়ের পাঁচ সন্তান তথা ভাইবোনকে তথা সম্পূর্ণ পরিবারের অর্থনৈতিক যোগানসহ সমাজ সামাজিকতায় আমিত্বকে বিসর্জন দেন প্রতিষ্টার নিমিত্তে। সফলতা আসে পরিপূর্ণতায় খোদার অপার মহিমায়। একটু দুরত্বে থেকে কেহ অতি সহজে বিশ্বাস করতে পারবে না বা আঁচ করা মোটেই সম্ভব নয় সৎমা ও ভাইবোন বেষ্টিত পরিবারটি।এ শিক্ষক আমার জ্ঞান বা বোধ শক্তি অর্জনের পর থেকেই দেখেছি আপনসহ সৎ ভাইবোনদের কাপড়-চোপড় ধৌত নিজ হাতেই করেছেন। এজন্য সৎমা অবশ্যই এ পর্যন্ত শিক্ষকের গুণাগুণ বলতে কার্পন্য করেন না। এমন কি আপন ছেলের মতো দেখেনও। কিন্তু বিয়ের পর স্ত্রী নামক ব্যক্তিত্বের কারনে সৎমা দুরে থাক সহোদর ভাইদের সাথে শালীনতাবোধ, শ্রদ্ধা, আদর, স্নেহ সামাজিকতা সব কিছুতেই বিমুখ। কিন্তু প্রত্যেকটি সদস্যের আন্তরিকতা পূর্ণ সদ্ভাব রয়েছে গোপনে। আর প্রকাশ্যে ওদের সাথে অমিল। মান-সম্মান, ইজ্জতের ভয়ে শিক্ষক সব কিছু ত্যাগের মাধ্যমে জীবন যাপন করে যাচ্ছেন স্ত্রীর কারনে। ঘর থেকে বের হলে হিসেব দিতে হবে টাকা এবং সময়ের। হিসেবের গরমিলে কথা আসে বোনকে টাকা দিয়েছ, ভাইকে সহায়তা করেছ, মাকে দেখতে গিয়েছিলে ইত্যাদি ইত্যাদি। টাকা এবং সময়ের গরমিলে মহাশোরগোল মানে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঝড়ের বহমান। ঝড়ের তান্ডব সমাপ্ত হতে বা তার রেশ কাটতে অনেক অনেক সময়ের প্রয়োজন। ভেবে দেখুন একজনের যন্ত্রণায় কতজন কাতর। সমাজের এ দুষ্ট ক্ষত শেষ হবে কবে? এক পাত্র ঘিয়ে এক ফুটা বিষই যথেষ্ট। অতিরিক্ত নিষ্প্রয়োজন। ম্যাচের এক কাটির আগুন গৃহ থেকে গৃহান্তরে ছড়িয়ে লেলিহান শিখা ছাই করতে পারে। আবার এক গৃহ পোডাতে ম্যাচের পর ম্যাচ শেষ হবে অতিরিক্ত তথা এক গৃহই সম্ভব নয় পোডানো।

কবি যথার্থ উপলব্ধির মাধ্যমে ব্যক্ত করেছেন, নিজ অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছেন,“ মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে”। প্রকৃত বাস্তবতার পরখে আপনি পরিস্থিতি সত্যের প্রতীক হলে দু:খ, কষ্ট, বেদনা সাময়িক কালব্যাপি বিস্তৃত। সূর্যালোক বা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট ঘোর অমাবস্যা কেটে ভোরের সূর্য পূর্বাকাশে উদিত হবে প্রখর দীপ্তির আভা, আলো ছড়িয়ে চতুর্দিকে। হয়তবা একটু বিলম্ব হতে পারে। পরিণাম ফল অবশ্যম্ভাবী। কৃত কর্মের ফলাফল হাতে হাতে প্রাপ্য। এ জগতে প্রবীনরা অনেকটা বলে গেছেন যা সুস্পষ্ট ভাবে চিন্তা করলে অতি সহজে বেরিয়ে আসে যা অমুলক নয়। কারন তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে ছন্দ বা গীতি কাব্য রুপে পরিগণিত।যেমন-“নদীর এপার ভাঙ্গে ওপার গড়ে ঠাকুর ও কানাই”, “ধন সম্পদ চিরস্থায়ী নয়” ও “রুপ যৌবন অটুট থাকে না চিরকাল” ইত্যাদি। সুতরাং আমি চাই সত্যাশ্রিত একটি আলোকিত সমাজ ব্যবস্তা যা মার্জিত, সুশীল শ্রেণিভুক্ত।অন্যায়, অত্যাচার, অনাচার, অনৈতিকতা বর্জ্য তুল্য। এটা আমাদের চরিত্র থেকে পরিহার করে ডাস্টবিনে তথা যথা স্থানে জায়গা করে ফেলতে হবে। মনের কলুষতাই সর্বক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা স্বরুপ। এ বর্জিত হলে সুন্দরতায় যাত্রা কোন কঠিন কাজ নয়।

সময়ের ব্যবধানে পরিবেশ সামাজিকতায় পরিবর্তন নিত্য নুতন কালচার যোগ-বিয়োগ অবশ্যম্ভাবী। পূর্বেকার মা চাচী, বধুরা হাতে তৈরী বা মরিচ বাটা, হলুদ বাটা, ঢ়েঁকিতে ধান বা গাইল ছিয়া সহযোগে ধান ভেঙ্গে রান্না-বান্না করাসহ দৈনন্দিন কার্য তালিকা রুটিন মাফিক চালিয়ে ও অন্যান্য কর্ম সম্পাদন করেছেন। তাদের মন মানসিকতা ছিল উন্নত ও প্রশস্থ। কিন্তু বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সকল কাজের প্রস্তুতিপূর্ণ পরিবেশ প্রাপ্তিতে ও কাজের চাহিদা অনেক অনেক সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকারে বিরাজমান থাকাবস্তায় ও সুখ, শান্তি যেন নাগালের বাইরে। কাজ করলে মনের তৃপ্তি, উৎফুল্লতা, প্রসন্ন ও ঝরঝরে হালকা অনুভুতি অবশ্যিই আসে, আসবে।পরিশ্রমে ব্যায়ামের অনেকটা সহযোগির কাজ করে থাকে।কাজে আত্ম-মর্যাদা, শরিরে সতেজতা বৃদ্ধি পায়। একটি মেশিন যদি অচল অবস্তায় দীর্ঘ দিন রাখা হয়, অচলতার কারনে অনেক প্রকার ক্রুটি বিচ্যুতি, গোলযোগ দেখা দেয়। আমাদের দেহ মেশিন অনুরুপ অলস জীবন যাপনে অভ্যস্ত হলে রোগ, ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক। অনেকটা রোগ প্রতিরোধ শক্তি অর্জিত হয় কাজের মাধ্যমে ব্যায়াম সংগঠিত হবার ফলে। ঔষধের কার্যকারিতা অনেক ক্ষেত্রে নিষ্প্রয়োজন। ব্যায়াম বা কাজই হল মহৌষধ। সুতরাং চিন্তা চেতনায়, ধ্যান ধারণায় সীমিত হলেও কাজ করা জরুরী। আবার মাত্রাতিরিক্ত কাজ সুফল বয়ে আনতে অক্ষম।অলসতা যেমন কাম্য নয়, মাত্রাতিরিক্ততা ও কাম্য হতে পারে না। নিয়মতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করাই সর্বোৎকৃষ্ট।

লেখকঃ মিজানুর রহমান মিজান,
পরিচালক চাঁন মিয়া স্মৃতি পাঠাগার,
রাজাগঞ্জ বাজার, বিশ্বনাথ, সিলেট।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।