বাংলার বিজয়
এই আমি এক বীর বাঙ্গালী
আমার এই বাংলা যখন বন্দী
পাকিস্তানি হানাদের অত্যাচারিতে
বাঙ্গালী কেউ হলো তাদের গোলাম
আমাদের ওপর নেমে এলো অত্যাচার।।
ছেলের সামনে মায়ের ইজ্জত বিলীন হচ্ছে
বাবার সামনে মেয়ের ইজ্জত নিয়ে খেলছে
মায়ের সামনে ছেলের লাশ যাচ্ছে পড়ে
ছেলের সামনে বাবার লাশ অকালে
আমরা বীর বাঙ্গালী তখনই জেগে উঠি।।
হয়ে যায় শুরু যুদ্ধ, সংগ্রাম
একনয়, নয় নয়টি মাস করেছি সংগ্রাম
জীবনের মায়া ছেড়ে দিয়ে
রক্তের বাঁন খুলে দিলাম
৩০ লক্ষ ভাইয়ের তাজা রক্ত দিয়ে
এঁকেছি এক মানচিত্র লাল সবুজ।।
সেই লালসবুজ মানচিত্রের নাম বাংলাদেশ
আমরা সেই দিন বিজয় নিয়ে এসেছি
ওই হাইনার, সাবধান বাংলাদেশে হাত রাখতে
বুক থেকে কলিজা নিয়ে আসবো
আমার চিত্রে হাত রাখলে।।
কুয়াশার দিন
সকাল বেলা ফজরের পর
চার দিকে সাদা কুয়াশা ডাকা
আকাশ থেকে সূর্যটা উঁকি দিচ্ছে
ঘাস গুলো ঢেকে আছে কুয়াশার ছাপে।।
খেজুর গাছে তাকালে দেখি রসের হাড়ি
ফসলের মাথায় যেনো কুয়াশা জমেছে ভারি।।
দাদা যেনো কার অপেক্ষায় আছে
দাদা কার অপেক্ষায় আচো
ওই সূর্য উঠার অপেক্ষায়
অপেক্ষায় থাকো সূর্যটা মেলছে আলো।।
দাদি যেনো দরজায় বসে আছে
আগুনের বসি নিয়ে গুজা ধরে
বাবা এলো রসের হাঁড়ি নিয়ে
মা দিলো চুলায় আগুন জেলে।।
রসের সিন্নি হলো যে আরে
দাদা, বাবা, দাদি, আমি, খেতে লাগলাম
রসের সিন্নি যে অনেক মজা।।
সেই সকাল যেনো হারিয়ে গেছে
আমি চাই ফিরে যেতে সেই সকাল বেলায়।।
লেখক পরিচয়ঃ রফিকুল ইসলাম নাজিম,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানঃ ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, শ্রেণীঃ একাদশ, উপজেলাঃ সদর,
জেলাঃ লক্ষ্মীপুর, গ্রামঃ চর মনসা।