ঢাকামঙ্গলবার , ২১ জুন ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নারীর_সতীত্ব পর্ব_০১

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২১, ২০২২ ১১:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাসর ঘরে ঢোকার সময় আমার মা আমার হাতে একটা সাদা রুমাল দেয়।
আমি বললাম কি হবে মা এটা?
মা বলে এটা রাখ তোর স্ত্রীর সতীত্ব পরীক্ষার জন্য এটা দরকার হবে। সহবাসের সময় যদি তোর স্ত্রীর রক্তপাত হয় তাহলে বুঝবি তোর স্ত্রী ভালো আর না হলে বুঝতেই পারছিস। রুমাল টা কালকে আমাকে দেখাবি।
আমি তখন অবাক হয়ে বললাম ছিঃ ছিঃ লজ্জা করছে না মা ছেলের সাথে এসব কথা বলতে। আর সবথেকে বড় কথা হলো এসব কুসংস্কার আগের কালের মানুষ এগুলো বিশ্বাস করত। এগুলোর প্রতি বিশ্বাস ছাড়ো।
মা তখন বলে তুই কি আমার থেকে বেশি জানিস।
হ্যাঁ মা অবশ্যই আমি বেশি জানি তোমার থেকে। আর আমি একজন ডাক্তার। তোমার থেকে এসব বিষয়ে আমি ভালো জানি মা।
বেশি কথা না বলে যা বলছি তাই কর। আমি তোর সন্তান না তুই আমার সন্তান। মুখে মুখে তর্ক করিস না।
আমি আর কোনো কথা বললাম না। রুমাল টা নিয়ে রাগে রাগে রুম ঢুকে গেলাম। আমি কখনো অন্যায়ের প্রশ্রয় দিই না। কিন্তু আজ বিয়ের দিন কোনো ঝামেলা করতে চাচ্ছি না। বাসায় সবাই কত আনন্দ করছে। তাদের আনন্দ মাটি করতে চাচ্ছি না। বাসায় নতুন বউ এসব বিষয় জানলে লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাবে। কখনো তার সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।
রুমে ঢুকে খাটের উপর বসলাম রুমাল টা পকেটে রাখলাম। মা যেমনটা বলেছে যদি এমনটা করি তাহলে আমার আর আমার পরিবারের মান সম্মান সব নষ্ট হয়ে যাবে। যদি সে মা তারপর সব কথা মেনে চলা আমার দায়িত্ব কিন্তু মা হোক বা বাবা হোক অন্যায় কোনো কাজ করতে বললে সেটা তো করা যাবে না। বুঝাতে হবে, না বুঝলে প্রতিবাদ করতে হবে।
পৃথিবীর কোনো মেয়ে চায় না তার স্বামী প্রথম রাতেই তার সাথে সহবাস করুক। আমার স্ত্রীর পাশে বসার সাথে সাথে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। তারপর আস্তে আস্তে কান্না করতে থাকে।
আমি বললাম কান্না কেন করছেন। স্ত্রী ( সানজিদা সাবনাজ) বলে আমার ভয় করছে।
আমি তখন বললাম আপনার মাঝে হয় না জড়তা কাজ করছে আর বেদনা। কারণ নতুন জায়গা নতুন পরিবেশে। সবারই এমন হয়। বাবা মা আত্মীয় স্বজন ছেড়ে নতুন জায়গায়। মা বাবা থেকে দূরে থাকা বেশ ভালোই কষ্ট। আমি সাধারণত পড়াশুনার জন্য ক্লাস এইট থেকে বাইরে থেকেছি বাবা মা ছেড়ে। মাঝে মাঝেই মা বাবার জন্য ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠতাম। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাকে শুধু স্বামী না একজন বন্ধু হিসেবে পাবেন আপনার পাশে। অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়েন।
আর কিছু না বলে বিছানা থেকে উঠে একটা বালিশ নিয়ে নিচে একটা বিছানা পেড়ে, রাইট অফ করে শুয়ে পরলাম। কিছুক্ষণ পরে ঘুমন্ত অবস্থায় শুনতে পারি মাহমুদ মাহমুদ বলে কে যেন ডাকছে। কিন্তু এটা স্বপ্ন নয়। আমার হাতের বাহু ধরে সাবনাজ ডাকছে।
আমি বললাম কি হয়েছে সাবনাজ?
ভয় করছে আমার।
ভয় কেন করবে আমি আছি ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
আসলে আমি অন্ধকার রুম ঘুমাতে পারি না। ছোট থেকেই লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাই। লাইট বন্ধ করা তো তাই ঘুমাতে পারছি না।
আমি নিজেকে মনে মনে ধিক্কার দিলাম। কেমন মানুষ আমি। একটু জানতেও চাইলাম না লাইট অফ করে দিব নাকি জ্বালানো থাকবে।
আমিও আবার একদম ঘুমাতে পারি না লাইট জ্বালিয়ে রাখলে। তারপর লাইট টা জ্বালিয়ে দিয়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম।
ভোর রাতে দেখি আবার কে ডাকছে মাহমুদ মাহমুদ বলে। উঠে দেখি সাবনাজ ডাকছে। আমি বললাম কি হয়েছে কোন সমস্যা?
না কোনো সমস্যা নেই আজান দিয়েছে উঠে ওজু করে নামাজ পড়ে নেন।
কত বছর যে নামাজ পড়ি নাই তার কোনো হিসেবে নেই। তাও আজ শিতের মধ্যে নামাজ পড়তে ডাকছে। না উঠলে মাইন্ড করবে তাই উঠে নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ শেষে অনেক ঘুম পাচ্ছিল কিন্তু না ঘুমিয়ে বাইরে চলে গেলাম। বাসায় থাকলে সকাল সকাল ঝামেলা শুরু করবে মা। স্ত্রীর সতীত্ব টেনে নিয়ে এসে বলবে রক্তমাখা রুমাল দিতে বলবে। কিন্তু আমাদের মাঝে তো এমন কিছু হয়নি যে রক্তমাখা রুমাল দেখাতে হবে। আর যদি হয়ে থাকত তাহলে আমি এমন কাজ কখনো করতাম না। কারণ এটা একটা মেয়ের জন্য অনেক অপমান জনক। আর রক্তপাত হলেই যে একজন মেয়ের সতীত্ব ঠিক আছ আর রক্তপাত না হলে সতীত্ব ঠিক নেই এই যুগে এসেও এসব বিশ্বাস করতে পারে কেউ, আমার মাকে না দেখলে জানতেই পারতাম না।
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাইরে চলে আসলাম‌। অনেকক্ষণ হয়ে গিয়েছে কিন্তু বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করছে না। কারণ বাড়িতে গেলে মায়ের সম্মুখীন হতে হবে। আর বিষয় টা অনেক খারাপ হবে‌‌। পরক্ষনেই ভাবলাম এভাবে আর কতক্ষন সারাজীবন তো আর এখানে থাকতে পারিনা। যখনিই বাড়িতে যাই মায়ের সম্মুখীন হতে হবে। তাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পকেট থেকে ফোন বাহির করে দেখি ২২ মিসড কল দিয়েছে মা। ফোন সাইলেন্ট করা ছিল তাই বুঝতে পারি নাই। জোরে জোরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
বাসায় যেতে যেতেই আপু হাত ধরে টান দিয়ে রুমে নিয়ে গিয়ে বলল তোর কি কোনো আক্কেল জ্ঞান নেই ভাইয়া। বাসায় নতুন বউ রেখে কোথায় চলে গিয়েছিস খোঁজ নেই। মা তোকে খুঁজছে অনেকক্ষণ থেকে। অনেকবার ফোন দিয়েছে ফোন রিসিভ করিস না অনেক রেগে আছে গিয়ে দেখ কি বলে।
মা বাবা আর অনেকেই ডাইনিং এ বসে ছিল। আমার যাওয়া দেখে মা ইশারা করে অন্য রুমে যেতে বলে মা। কিন্তু আমি না দেখার ভান করে বসে থাকি বাবার পাশে। আর বসে গল্প করছি। আর কোনো উপায় না পেয়ে মা আমাকে বলে মাহমুদ আমার সাথে আই একটু।
বাবা তখন বলল দাঁড়াও একটু পরে যাচ্ছে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলছি। আমি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম যাক এবার মতো বাঁচলাম মায়ের সম্মুখীন হতে হবে না। আমি শুধু চাচ্ছি বাসার মেহমান আজ চলে যাক। কারণ সবার সামনে সমস্যা সৃষ্টি করতে চাচ্ছি না।
নামাজ পড়ে দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ বিশ্রাম নিচ্ছি। সারারাত ঘুম হয়নি লাইট জ্বালিয়ে রাখলে আমার ঘুম হয় না। কিছুক্ষণ ঘুমানোর পরে বুঝতে পারি কে যেন ডাকছে মাহমুদ মাহমুদ বলে। উঠে দেখি সাবনাজ ডাকছে।
আমি বললাম কি হয়েছে কোন সমস্যা হয়েছে?
সমস্যা না মায়ের সাথে কথা বলব কাল আসার পরে থেকে আর কথা হয়নি। আমার ফোন বাড়িতে রেখে আসছি। আপনার ফোন টা দিলে কথা বলতাম। তারপর ফোন টা দিয়ে বললাম কথা বলো। আমাকে কেউ যেন আর না ডাকে সারারাত ঘুম হয়নি।
বিকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম বাজার করতে। কাল সাবনাজ এর বাসা থেকে মানুষ আসবে আমাদের নিতে তাই বাজার করা দরকার। বাজারে যাওয়ার সময় মা আমাকে পিছন থেকে ডাক দিয়ে বলে। মাহমুদ এদিকে আই শুনে যা।
আমি আবার মহা বিপদে পড়লাম এবার কিভাবে কাটিয়ে যাব। কাছে গিয়ে বললাম কি হয়েছে মা বলো আমার হাতে একদম সময় নেই। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে। অনেক বাজার করতে হবে। অনেক সময় লাগবে বেশি রাত হলে এই রাস্তায় আবার রিকশা আসবে না।
মা বলে এতো তাড়াতাড়ি করার দরকার নেই। আজ সকাল থেকে তুই আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছিস। রুমাল টা কই তাড়াতাড়ি রুমাল দেখা আমাকে।
আমি বললাম রাতে এসে দেখাচ্ছি মা বাজার করে এসে। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। কোনো ভাবে ওখান থেকে চলে আসলাম। তারপর বাজার করে রাতে বাসায় ফিরে আসলাম।
তারপর মা বলে রুমাল দেখা এবার আমাকে আর কোনো অযুহাত নয়। আমি বললাম আচ্ছা রুম থেকে নিয়ে আসছি। রুমাল আমার পকেটে ছিল কিন্তু তাও বললাম রুম আছে নিয়ে আসি।
তারপর এসে রুমাল টা মায়ের হাতে দিলাম।
মা আমার দিকে তাকিয়ে আছে অল্পকিছু ধরে।

তারপর মা বলে রুমাল দেখা এবার আমাকে, আর কোনো অযুহাত নয়। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে মা, রুম থেকে নিয়ে আসছি। রুমাল আমার পকেটে ছিল কিন্তু তাও বললাম রুম আছে নিয়ে আসি।
তারপর এসে রুমাল টা মায়ের হাতে দিলাম।
মা আমার দিকে তাকিয়ে আছে অল্প কিছুক্ষণ ধরে । আমি বললাম কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
যাক রুমাল টা দেখে খুশি হলাম। রক্ত লেগে আছে রুমালে। দেখেছিস আমি সত্যি বলেছিলাম তুই তো আমার কথা বিশ্বাস করলি না। এখন ঘরে যা সারাদিন বাইরে ছিলি। বউ এর কাছে যা কিছু দরকার আছে কি দেখ। কোনো কিছু প্রয়োজন বা সমস্যা হলে আমাকে বলবি।
আমি বললাম ঠিক আছে মা। তারপর মুচকি হেসে রুম চলে আসলাম। মায়ের মুখেও হাসি আর স্ত্রী কিছু জানতে পারলো না। কিছু কিছু সময় মিথ্যা বলার দরকার আছে তাতে পরিবেশ সুন্দর থাকে।
রুমে এসে সাবনাজ আমার হাতের দিকে তাকিয়ে বলে আপনার হাত দিয়ে তো রক্ত পড়ছে কি হয়েছে হাতে?
আমি বললাম তেমন কিছু না আসার সময় গেটের দরজায় চাপ লেগে আঙ্গুল দিয়ে রক্ত পড়ছে। চিন্তা করতে হবে না অল্প একটু লেগেছে ঠিক হয়ে যাবে।
তারপর সাবনাজ বলল এদিকে আসেন আমি রক্ত মুছে ব্যান্ডেজ করে দিই। আমি মানা করতে গেলাম কিন্তু না বলার সাথে সাথে মুখ থেকে কথা ঘুরিয়ে নিয়ে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে দাও। এই কারণেই মানা করলাম না স্ত্রী অনেক ভয়ে আছে হাত ব্যান্ডেজ করার বাহানায় স্ত্রী প্রথম স্পর্শ পেয়ে যাব। হাজার হলেও স্ত্রীর প্রথম স্পর্শ সে তো এক অমৃত স্বাদ। তারপর স্ত্রী নিজ হাতে রক্ত পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দেয়। তারপর একটা ব্যথার ঔষধ খেয়ে নিই।
পরক্ষনেই আমার মনে আসে কাল থেকে ভাবিকে দেখছি না কেন? কোথায় গিয়েছে? আমার এখনো একটা কথা মনে আছে ভাইয়ার বিয়ের কয়েক সপ্তাহ পরে ছোট বোনের এইচএসসি পরীক্ষার ফি চেয়েছিল ভাইয়ার কাছে কিন্তু ভাবি দিতে দিয়েছিল না। ভাবি বলেছিল টাকা নেই এখন দেয়ার মতো। এবারের মতো তোমার বাবার কাছে থেকে নাও পরেরবার থেকে নিও। বোন তখন কান্না করতে করতে আমার কাছে এসে বলেছিল ভাইয়ার কাছে টাকা চাইলাম রেজিস্ট্রেশন ফি এর, কিন্তু ভাবি দিতে দিল না।
আমি বললাম সমস্যা হতেই পারে সব সময় টাকা থাকে না।বাবার কাছে থেকে চেয়ে নিবি।
দরকার হয় পরিক্ষা দিব না। তাও বাবার কাছে থেকে নিব না। বাবাই বলেছেন বড় ভাইয়ার কাছে থেকে নিতে।
আমার কাছে তখন টাকা ছিল কিছু আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে। তখন বেকার ছিলাম আমি। ছয় মাস মতো হয়েছে চাকরি পেয়েছি। পিকনিকে যাওয়ার জন্য টাকাগুলো গুছিয়ে ছিলাম অনেকদিন ধরে। সেদিন নিজের ইচ্ছা টা মাটি করে টাকাগুলো বোনের হাতে দিয়েছিলাম আর বলেছিলাম আমার সামনে আর কখনো কান্না করবি না। তুই তো জানি তোর চোখের পানি সহ্য হয় না আমার। আর হ্যাঁ একটা শুনে রাখ বাবা আর মা কে বলবি না এই টাকা টা আমি দিয়েছি বলবি বড় ভাইয়া দিয়েছে।বুঝেছিস!
কেন তা বলব ? কেন টাকা তো তুই দিয়েছিস বড় ভাইয়ার নাম কেন বলব
আমি ধমক দিয়ে বললাম বেশী বুঝিস না । আমি যা বলছি তাই করবি। যদি মা বাবা জানে ভাবি ভাইয়াকে টাকা দিতে মানা করছে তাহলে মা বাবার চোখে ভাইয়া ভাবি খারাপ হয়ে যাবে। আমি চাই না এই বাড়িতে কেউ কারো চোখে খারাপ হয়ে থাকুক।
কিন্তু কিছুদিন পরে জানতে পারি ভাবির ছোট বোনের সব খরচ ভাইয়া চালাই। কিন্তু নিজের বোনের খরচ দিতে পারে না। তখন বুঝতে পারলাম এভাবে আর চলবে না। ছোট বোন মা বাবার জন্য আমাকে কিছু করতে হবে। তখন থেকেই ছোট ছোট কাজ করতে করতে এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো পজিশনে আছি।
আগের কথা চিন্তা করতে করতে অতীতে ফিরে গিয়েছিলাম কিন্তু কারো কথা শুনে বর্তমানে ফিরে আসলাম। সামনে তাকিয়ে দেখি ভাবি দাঁড়িয়ে আছে। বিনয়ের সাথে বললাম বসেন ভাবি।
খাটের উপর বসে এদিকে ওদিকে তাকিয়ে দেখে বলে সাবনাজ কই দেখছি না কেন মাহমুদ?
আমি বললাম আছে কোথাও, মনে হয় ছাদে আছে। নতুন জায়গা ভালো লাগছে না তাই মনে হয় হেঁটে বেড়াই।
নতুন বউ এভাবে না বেড়িয়ে রুমে থাকতো বলো। এখনি এভাবে চলা ঠিক না। নতুন নতুন যদি এভাবে চলে আর কয়দিন পরে রাস্তায় হাঁটবে কাউকে না বলে। অল্প একটু চাপে রাখতে হয়।
হ্যাঁ ভাবি একদম ঠিক কথা বলেছেন বউকে কে চাপে রাখা ভালো। কিন্তু সব বউ কে না। যে সব বউ অন্যের সংসারে আগুন ধরিয়ে দেয়। যে সব বউদের অন্যের ভালো সহ্য হয় না তাদের কে। হক কথা বলছেন একদম ভাবি।
আমার কথার ইঙ্গিত বুঝতে পেরে ভাবি বলে আচ্ছা ঠিক আছে থাকো মাহমুদ ভাই আমার একটু কাজ আছে শপিং করতে যেতে হবে।
আমি বললাম কিন্তু ভাবি, ভাইয়া তো বাসায় নেই। কার সাথে যাবেন।
তোমার ভাইয়া বাসায় নেই তো তাছাড়া আমার একা শপিং করতে ভালো লাগে।
ভাবি রুম থেকে চলে গেল আমি মিটমিট করে হাসতে থাকি আর মনে মনে বলি কী যুগ আইলো নিজে উপদেশ মানে না, আর অন্যের বউকে কিভাবে কন্ট্রোল করতে হয় শেখাতে আসছে হাহাহা।
অনেক কথা ভাবতে ভাবতে একটা কথা পড়ে যাই আমরা। আচ্ছা মা আমার সাথে কাল যেটা করছে ভাইয়ার সাথেও কি এমন করছে। বউ এর সতীত্ব পরিক্ষার জন্য কি সাদা রুমাল দিয়েছিল। যে করেই হোক এটা আমাকে জানতে হবে। তবে ভাবির কাছে থেকে না। ভাইয়ার কাছে থেকে জানতে হবে। যদিও ভাইয়া আর আমি একদম বন্ধু সুলভ সেই ছোট থেকে একসাথে দুজন বড় হয়েছি। এক স্কুল কলেজে পড়েছি। পরে ভাইয়া ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করে আর আমি মেডিকেল। বয়সের পার্থক্য মাত্র দুই বছর। কিন্তু তবুও এই বিষয় সম্পর্কে জানা কেমন লজ্জাবোধ কাজ করছে। তাও আজ ভাইয়াকে প্রশ্ন টা করতে হবে।
যদি আমার সাথে যেমন করেছে মা, ভাইয়ার সাথেও তেমন করে থাকে তাহলে মা দোষী। আর ভাইয়ার সাথে এমন না করে তাহলে এই সব কিছুর পিছনে ভাবির হাত।আর যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে উচিত শিক্ষা দিব আমি।
রাতে যখন ভাইয়া বাসায় আসে তখন আমি ভাইয়াকে ছাদে ডাকি। কিছুক্ষণ পর ছাদে আসে ভাইয়া। আমি ইজিলি ভাইয়া কে প্রশ্ন করলাম আচ্ছা ভাইয়া নারীর সতীত্ব বলতে কি বুঝো তুমি?
ভাইয়া বলল একটু ভেঙে বল। কী বুঝাতে চাচ্ছিস?
আমি বললাম আচ্ছা স্ত্রীর সাথে প্রথম সহবাসের সময় যদি রক্তপাত না হয় তাহলে কি তাহলে কি সেই মেয়ের চরিত্র খারাপ। আর রক্তপাত হলে চরিত্র ভালো।
ভাইয়া তখন বলে ধুর পাগল তুই একজন ডাক্তার হয়েও আগের যুগের মানুষের মতো চিন্তা ভাবনা রাখিস কেন। এগুলো কুসংস্কার।
আচ্ছা ভাইয়া তোমার বিয়ের সময় কি মা নারীর সতীত্ব নিয়ে কিছু বলেছিল কি? নাকি কোনো প্রমাণ চেয়েছিল।
না তো এমন কিছু বলে নাই। বা কোনো প্রমাণ চাইনি। কেন মা তোকে এ বিষয়ে কিছু বলেছে কি?
আরে না ভাইয়া এমন কিছু না মা আগের যুগের মানুষ তো তাই এমন কিছু বলছৈ কী জানতে চাইলাম তুমি কিছু মনে করো না আবার‌। আমার বুঝতে বাকী রইল না এসবের পিছনে মা নেই ভাবি ভুলভাল বুঝিয়ে এসব করেছে মাকে দিয়ে
ভাইয়া কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি সাবনাজ ছাদে এসে বলে নিচে সবাই অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য, খেতে ডাকছে। তারপর নিচে খেতে গেলাম আমি আর ভাইয়া।
অনেক ক্ষুধা লাগছে তাই তাড়াতাড়ি গিয়ে খেতে বসলাম। কোনো কিছু চিন্তা না করে জোরে খেতে গিয়ে উফফফ করে উঠলাম। যেই হাতের আঙ্গুল কেটে রুমালে রক্ত মাখিয়েছিলাম সেই আঙ্গুলে ব্যথা পেয়ে রক্ত বাহির হচ্ছে। মা বলছে কি হয়েছে। আমি বললাম কিছু না ব্লেডে কেটে গিয়েছে। আর ভাবি আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আছে।
চলবে,,,,
সংগৃহিত

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।