শিক্ষকের বাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী এক বখাটের লালসার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আক্রান্ত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আকাশ (২৭) নামের এক যুবকের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। তবে শিশুটিকে দেরিতে হাসপাতালে প্রেরণের অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এদিকে পুলিশ দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরপরেই শিশুটির প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরিক্ষাসহ আনুষঙ্গিক আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
মামলার বাদী শিশুটির বাবার অভিযোগ, ঘটনাটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে আমি বিচার প্রার্থনা করি। তারা আমাকে থানায় আসার পরামর্শ দেয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই আমার স্ত্রীসহ মেয়েকে নিয়ে থানায় আসি। থানাতে আমাদের দীর্ঘসময় বসিয়ে রেখে দুপুরের পর এস আই ইউনুস আমার মুখে ঘটনার বিবরণ শুনে একটি এজাহার লিখে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং পুলিশ আমাদের থানার একটি কক্ষে রাত ৯টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখে।
এ সময় অনাহারে আমার আহত মেয়ে চরম যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিলো, কান্নাকাটি করছিলো। এই অবস্থা দেখে পুলিশ আমার এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে তাদের হাতে তুলে দিয়ে বাড়ি চলে আসতে বলে। এছাড়া মঙ্গলবার সকালেই যেনো মেয়েকে সাথে নিয়ে আবার থানাতে আসি সেজন্য কঠোর ভাবে বলে দেয়।
পুলিশের কথা মতো আমরা মঙ্গলবার আবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় এসে হাজির হই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার এস আই ইউনুসকে আমি একাধিক বার অনুরোধ করি বাচ্চাটাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু তিনি কোন সাড়া দেননি।
পরে সাংবাদিকরা পুলিশকে ফোন করার পর দুপুর সাড়ে ১২টার সময় সাদা পোশাকের একজন মহিলা পুলিশ আমাদের কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণ মামলা রেকর্ড হওয়ার পরও পুলিশ আসামি ধরার উদ্যোগ না নিয়ে উল্টা আমাদেরকে বিধি-নিষেধ আরোপ করে ২৭ ঘণ্টা থানায় রেখে দিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার সংঘটিত ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে আসলে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার সম্পন্নের প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক উদ্যোগ নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ধর্ষিতা ওই শিশুটি থানায় আসার পর ২৭ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক ইউনুস আলী জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আমার কাছে মামলাটি তদন্ত ভার অর্পনের পর আমি কাজ শুরু করেছি। এতে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা আমার অবহেলা বা অহেতুক বিলম্বে হওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।