অবশেষে কিছুটা নমনীয় অবস্থানে এসেছে আর্মেনিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় যুদ্ধবিরতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করার আগ্রহ জানিয়েছে। তবে একই সঙ্গে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে যে কোন আগ্রাসনেরও কড়া জবাব দেয়া অব্যাহত রাখা হবে বলেও সতর্ক করা হয় ওই বিবৃতিতে। খবর আলজাজিরা ও বিবিসি অনলাইনের।
বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এমন অবস্থায় শুক্রবার আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি পুনর্প্রতিষ্ঠায় ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।
এদিকে নাগোর্নো-কারাবাখের মূল শহরে শনিবার গোলাবর্ষণ করছে আজারবাইজান। আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়েছে। দিনভর বিক্ষিপ্ত গোলাবর্ষণের পর কারাবাখের প্রধান শহর স্টেপানাকার্টে সন্ধ্যায় ভারি বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।
জানা যায়, উভয় দেশের স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যান। কেউ কেউ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকর্তা গ্রিগরি মার্টিরোসান সাংবাদিকদের বলেন, হামলায় সরকারী ভবন, বাড়িঘর ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু শহর খালি করে দেয়া হয়নি।
এখন পর্যন্ত এ যুদ্ধে প্রায় ২০০ জনেরও বেশী নিহত হয়েছে।
আর্মেনিয়া অভিযোগ করেছে, স্টেপানাকার্টের বহু লোককে আহত করেছে আজারবাইজান বাহিনী। কিন্তু স্থানীয়রা আতঙ্কিত নন বলে দাবি করেন। পাল্টা হামলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকার বলছে, আর্মেনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় নির্মিত একটি সেতু ধ্বংস করে দিয়েছে আজারবাইজান।
আজারবাইজানের অভিযোগ, আর্মেনীয় বাহিনী আমাদের শহর টারটারে হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার দুই হাজারের বেশি কামানের গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে দু’দেশই আলোচনা বসার বিষয় প্রত্যাখ্যান করেছিলো।