ঢাকাশুক্রবার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কলেজ শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং মামা-ভাগ্নের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

মো. সুজন মোল্লা বানারীপাড়া প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার অভিযোগে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় ইভটিজিং’র শিকার ওই শিক্ষার্থীর পিতা মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্র জিসান ও তার  মামা মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে  বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই আসামীদের পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে মামলা দায়েরের খবর আগেভাগেই জেনে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে বখাটে মামা-ভাগ্নেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে বানারীপাড়া থানা সূত্রে জানাগেছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে বানারীপাড়া পৌর শহরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের মেয়ে উজিরপুরের গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী (১৮) ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের বাসা সংলগ্ন বন্দর বাজারের ফেরী ঘাটের শহর রক্ষা বাঁধের ওপর এক বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে যায়। এসময় সেখানে বখাটে জিসান ওই শিক্ষার্থীকে নাম ধরে ডাকাসহ ইভটিজিং করে। ওই কলেজ ছাত্রী এর প্রতিবাদ করায় দু’জনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরে জিসান মুঠোফোনে তার মামা মেহেদী হাসানকে ডেকে আনে। মেহেদী  ঘটনাস্থলে আসার পূর্বে ওই কলেজ ছাত্রী বাসায় চলে যায়। পরে মেহেদী ওই কলেজ ছাত্রীর বাসায় গিয়ে এ বিষয়টি কাউকে না জানাতে এবং মামলা না করতে তার পরিবারকে শাসিয়ে আসে। এসময় সে কলেজ ছাত্রী ও তার পিতাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণনাশসহ নানা ধরণের হুমকি-ধামকিও দিয়ে আসে। ফলে ওই ছাত্রীর পরিবার নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ায় ওই দিন রাতেই ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম তার মেয়েকে নিয়ে থানায় ওসির কাছে গেলে সেখানে উপস্থিত থানা পরিদর্শনে আসা বরিশাল জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (উজিরপুর সার্কেল) মো. জাফর আহম্মেদ বিষয়টি শুনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ দেন। ফলে ওই রাতেই মামা-ভাগ্নেকে আসামী করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়। এদিকে ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদী ও ভিকটিমসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে সাক্ষ্য নিয়েছেন। প্রসঙ্গত আসামী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।