দিন দিন মানুষের মনুষত্ব কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা ভাবলে শিউড়ে উঠতে হয়। অপরাধের মাত্রা মানুষকে পিশাচে পরিনত করেছে। নিত্য নতুন কৌশলে অবলম্বন করছে অপরাধীরা। তেমনি একটি নতুন কৌশলে ফেনসিডিল বহন করছিলো মাদক ব্যবসায়িরা। কিন্তু পুলিশের দক্ষ পেশাদার কৌশলের কাছে ধরা পরে যায় অপরাধীরা।
এবার, চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। তারা লাশবাহী ফ্রিজিং এ্যাম্বুলেন্সে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো তিনটি মৃতদেহের আদলে ফেন্সিডিল বহন করছিলো।
গত ০৪ অক্টোবর, রবিবার বিকাল আনুমানিক ৩ টায় শাহবাগ থানার গণপূর্ত স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন- মাহাবুবুল হাসান (২৯),
হাসানুর রহমান সবুজ (২২),
মোঃ সোহেল মিয়া ওরফে এমিলি (২৫) ও রোমন (২৩)।
এ সময় লাশবাহী ফ্রিজিং এ্যাম্বুলেন্স থেকে ২ হাজার বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ একটি লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স ও ০১টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুবুল আলম জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কৌশল হিসেবে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশের আদলে ফেন্সিডিল বহন করছেন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে যাত্রী সেজে লাশবাহী গাড়ীর পিছনে আসছেন। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ০৪ অক্টোবর দুপুরের দিকে শাহবাগ থানার গণপূর্ত স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে লাশবাহী ফ্রিজিং এ্যাম্বুলেন্স তল্লাশী করে সাদা কাফনের কাপড়ে মোড়ানো ফেন্সিডিল ভর্তি বস্তা উদ্ধার করা হয় এবং ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।”
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায় যে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা স্বীকার করেছে তার এর আগেও অনেক বার কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ফেন্সিডিল এভাবে লাশের গাড়ীতে কাফনের কাপড়ে লাশের আদলে প্যাকেট করে ঢাকায় নিয়ে আসতেন। পরবর্তিতে সুযোগ বুঝে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করতো।
ইতিমধ্যে শাজবাগ থানায় রুজুকৃত মামলায় আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।