মার্চে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতায় এমনটা করতে দেখা যায় নি অনেক দেশকে। কিন্তু করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে দ্বিতীয় প্রবাহের শুরুতে অনেকটা পর্যদুস্থ গোটা ইউরোপ। প্রতিদিন হাজার হাজার সংক্রমন ধরা পড়ছে মানুষের দেহে।
এ অবস্থায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে প্যারিস ও আরও আটটি শহরে রাতের বেলায় কারফিউ জারি করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এসব শহরের বাসিন্দারা রাতের বেলা ঘর থেকে বের হতে পারবেন না।
১৭ অক্টোবর, শনিবার থেকে এই কারফিউ জারি হবে, আর চলমান থাকবে ৪ সপ্তাহ। রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ চলবে। দেশটিতে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করা হয়েছে।
২ কোটি ২০ লাখ মানুষ এই কারফিউয়ের শিকার হবে। কারফিউ চলাকালে সন্ধ্যা ও রাতের বেলা কোনো রেস্টুরেন্ট বা কারো বাড়িতেও যাওয়া নিষিদ্ধ থাকবে। জরুরি ক্ষেত্রে সফর করা গেলেও কেউ কারফিউ ভঙ্গ করলে ১৩৫ ইউরো জরিমানা দিতে হবে।
ফ্রান্সে স্কুল খোলা থাকবে এবং জনগণ দিনের বেলা সফর করতে পারবে। বাড়িতেও ছয়জনের বেশি একত্রিত হওয়া যাবে না।
বর্তমানে সেখানে প্রতিদিন প্রায় ২২ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। ফ্রান্সে এই পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার জন আর প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। বর্তমানে সারাবিশ্বে ৩ কোটি ৮৭ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রাণ হারিয়েছে ১০ লাখ ৯৬ হাজারেরও বেশি।
একদিনে সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষ আর প্রাণ হারিয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি জন।
একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃতু্র ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে, প্রায় ১০০০ জন আর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ভারতে, ৬৭ হাজারের বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও অনেক আগেই ডিকলেয়ার দিয়েছে যে করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ প্রথম অবস্থার চেয়েও ভয়াবহ হবে।