কুড়িগ্রামের রৌমারীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপির মাইক্রোবাস চালককে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪।
আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আসামীকে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত চালকের নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের মৃত বাবুর উদ্দিনের ছেলে।।
র্যাব-১৪ জামালপুরের সহকারী পরিচালক জানান, র্যাব ক্রেতা সেজে রফিকুলকে ৬০০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। পরে মাদক মামলায় তাকে রৌমারী থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে মন্ত্রীর গাড়ির চালক মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় রৌমারীতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ বিভাগ।
জামালপুর র্যাব-১৪ সিপিসি-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানা জানান, তিনি ও তার সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের যৌথ নেতৃত্বে রৌমারীতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন মাইক্রোবাস চালক রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। র্যাব সদস্যরা ক্রেতা সেজে সোমবার বিকেল থেকে জন্তিরকান্দা এলাকায় অভিযান চালয়। ক্রেতা ও বিক্রেতা কথা বলার সুবাদে সন্ধ্যার পর রৌমারী হতে দেওয়াগঞ্জ সড়কের মেসার্স রুনা মটরস অ্যান্ড অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে রফিকুল মাদকের চালান র্যাবকে দিতে আসলে র্যাব ৬০০ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করে। এসময় তার হাতে থাকা মোবাইল জব্দ করা হয়। র্যাবের এসআই কামাল হোসেন বাদী হয়ে পরে রৌমারী থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রহমান জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপির মাইক্রোবাস চালাত ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম। তবে এখন চালান কি না তা জানা নেই। এখন এই গাড়িটির দেখশুনা করেন মন্ত্রীর চাচাত ভাই আক্তারুজ্জান বাবু। এই মাইক্রোবাসটি প্রায়ই মন্ত্রীর কথা বলে ড্রাইভার থানায় রেখে যেতো।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপির চাচাত ভাই আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, মাইক্রোবাসটির মালিক মন্ত্রী। আমি রৌমারীতে ভাইয়ের হয়ে ব্যবসা ও গাড়িটির দেখাশুনার দায়িত্ব পালন করি। আর নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়িটি রাখা হয় রৌমারী থানায়। ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম আগে থেকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা তা আমাদের জানা নেই। তবে সে এই গাড়িটি নিয়মিত চালাত। ভাইয়ের বিভিন্ন মালামাল ঢাকায় আনা নেয়া করত। রৌমারীতে বিভিন্ন সরকারি ও মানব সেবার কাজে মাইক্রোবাসটি ব্যবহৃত হতো।
রৌমারী থানার ওসি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে র্যাব-১৪ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বাদী হয়ে ১৯১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১৪।