বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও এএসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার (১৮আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১-টার দিকে র্যাবের একটি গাড়িবহর নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে সিনহা হত্যা মামলার এই তিন আসামীকে হেফাজতে নিয়ে যায় র্যাব।
জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, মেজর (অব.) সিনহা মোঃ রাশেদ হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসর দায়ের করা মামলায় বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত ও এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতসহ সাত পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন…
মামলার বাকী এজাহারভুক্ত ৪ আসামী পুলিশের বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, সন্দেহজনক ৩ আসামি টেকনাফের বাহারছরার মারশবনিয়া এলাকার নাজিম উদ্দিন নাজু’র পুত্র নুরুল আমিন, নজির আহমদের পুত্র নিজাম উদ্দিন ও জালাল আহমদের পুত্র মোহাম্মদ আয়াছ গত ১৪ আগস্ট থেকে রিমান্ডে রয়েছেন।
এই ৭ জন আসামীকে রিমান্ড করার জন্য কারাগার থেকে গত ১৪ আগস্ট সকালে মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ হত্যা মামলার আইও সিনিয়র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম এর হেফাজতে নেন।
গত ৩১ জুলাই খুন হওয়া মেজর (অব.) সিনহা মোঃ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে খুন হন। এরপর ৫ আগস্ট তার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে বরখাস্ত হওয়া প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া সহ ৯জনকে আসামী করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। পরে মামলা টেকনাফ থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হয়।
দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত এই মামলার আসামীদের এখন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদিকে গতকাল মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি তিনি নিজেই তদারকি করছেন। এ মামলাটি র্যাব অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে তদন্ত করছেন ।
দৈনিক অপরাজিত বাংলা