ঢাকাবুধবার , ১৪ অক্টোবর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দৃশ্যপটঃ হাটহাজারী

ইউনুস মিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
অক্টোবর ১৪, ২০২০ ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পুত্র তাড়িয়ে দিল মাকে, অতঃপর- —

১৪ অক্টোবর -একজন মা, নাম-আকলিমা বেগম (৬০)।তাঁর এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। হাটহাজারী পৌরসভার আদর্শ গ্রামের দক্ষিণ পাহাড়ের মাছুম ফকিরের বাড়িতে তাঁর নামে বসত ভিটে রয়েছে। পারিপারিক অশান্তির কারনে আকলিমার স্বামীও দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে থাকেন।

পুত্র ও পুত্রবধুর হরহামেশা জ্বালাতনের কারণে দূর্বিসহ দিন যাপন করে আসছিলেন আকলিমা । তাঁর নামে বসত ভিটে ও ঘর থাকা সত্বেও ঘরে থাকতে পুত্র ও পুত্রবধূর আপত্তি। শেষতক , বৃদ্ধা আকলিমার ঠাঁই হলো রান্না ঘরের এক কোণায়!

আকলিমার ঐ ভিটায় রয়েছে সুন্দর একটি সেসিপাকা ঘর। যদিও ঐ ঘরটি নির্মাণ করা হয় আকলিমার সঞ্চিত টাকায়।

হঠাৎ আজ (বুধবার) সকালে মায়ের সাথে পুত্র ও পুত্রবধূর ঝগড়া লেগে যায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ঐ রান্না ঘর থেকেও মাকে তাড়িয়ে দেয়। তখন বৃদ্ধা আকলিমা নিরুপায় হয়ে সোজা হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের কার্যালয়ে চলে যান। ওখানে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অশ্রুসিক্ত নয়নে সকল দুঃখ খুলে বলেন।

অসহায় এ বৃদ্ধার অভিযোগ শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবেগ আপ্লুত হয়ে তাৎক্ষণিক বৃদ্ধাকে গাড়িতে তুলে আকলিমার বাড়িতে ছুটে যান। তিনি(উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন যে, বৃদ্ধা আকলিমার অভিযোগ সঠিক। পরক্ষনে
উপজেলা প্রশাসন ওই ঘরে থাকা পুত্র ও তার পরিবারকে বের করে দিয়ে প্লটের মুল মালিক ষাটোর্ধ বৃদ্ধা আকলিমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তখন, হারানো ঘর ফিরে পেয়ে আকলিমা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

ষাটোর্ধ বৃদ্ধা আকলিমা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ” তিনি (বৃদ্ধা) অসহায় দরিদ্র, তাঁর নিজের নামে জায়গা আছে। পুত্র কন্যা থাকার পরেও জরাজীর্ণ রান্নার ঘরের এক কোণে বসবাস প্রায় ৬/৭বছর ধরে। এর পরেও তিনি সন্তুষ্টি ছিলেন ।আজ (বুধবার) সকালে ছেলের সাথে ঝগড়া হওয়াতে সেই রান্নার ঘর থেকেও বের করে দেয়া হয় তাঁকে (মা)। তারা জিনিসপত্র সব বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে ইউএনও স্যারের কাছে ছুটে গেলে তিনি আমার ঘরে আমাকে তুলে দেন।তিনি (বৃদ্ধা) অনেক খুশি। আল্লাহ আমাদের ইউএনওকে দীর্ঘ হায়াতে বাচিয়ে রাখুক। আমার শেষ বয়সে মলিন মুখে হাসি ফুঁটিয়েছেন ইউএনও”।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।