মো. সুজন মোল্লা, বানারীপাড়া প্রতিনিধি
অবশেষে বরিশালের বানারীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করা জাকির হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এইচ এম হাফিজুর রহমান মামুন। ১৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বানারীপাড়া আমলী আদালতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন।
মামলাসূত্রে জানা গেছে গত ৪ সেপ্টেম্বর সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার বাজার জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান আওয়ামী লীগ নেতা এইচএম হাফিজুর রহমান মামুন। নামাজ শুরু হওয়ার আগে তিনি মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. মাঈনুদ্দিনের সঙ্গে কোভিড-১৯ প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। এসময় মসজিদে থাকা বিএনপি-জামায়াত সমর্থীত মুসল্লী জাকির হোসেন বলেন করোনা হাসিনার সৃষ্টি, হাসিনাকে টিভিতে দেখলে সেইদিনটি তার খারাপ যায়। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তার এ ঔদ্বত্যপূর্ণ কটুক্তির তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করে মামুন বিষয়টি মুঠোফোনে সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান আ.মন্নান মৃধা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মৃধাকে জানান। পরের দিন ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় এ নিয়ে সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান আ.মন্নান মৃধা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মৃধা, আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান, মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু সাদেক মোহাম্মদ ওয়াদুদ, আউয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আ.হালিম, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান মৃধা, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফ হাওলাদার, যুবদল নেতা আ. রহমান প্রমুখ মসজিদে শালিস বৈঠকে বসেন।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করার পরে সেই ব্যক্তিকে জামাই আদর করে, বিএনপি নেতাদের সাথে নিয়ে বৈঠক করায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তার পরেও এলাকাবাসী বৈঠকে কঠোর অবস্থানে থাকবেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এটাই আশা করেছিলেন। তারা জানান, বৈঠকের এক পর্যায়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মৃধা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আ. মন্নান মৃধা ও আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমানের সম্মতি নিয়ে রায় প্রদান করেণ। তার রায়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে কেবল তার দোষ স্বীকার করেতে বলেন। এসময় জাকির হোসেন তার দোষ স্বীকার করে নেয়।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ঔদ্বত্যপূর্ণ মন্তব্য কারির বিরুদ্ধে শালিস-বৈঠকে শুধু দোষ স্বীকার করার রায় দেয়ায় তা মনোপুত হয়নি সাধারণ মানুষের। পরে এলাকার শান্তি রক্ষায় সাধারণ মানুষের পক্ষ হয়ে তাদেরকে শান্ত করে এইচএম হাফিজুর রহমান মামুন বৈঠকস্থল ত্যাগ করেণ। ১০ সেপ্টেম্বর তিনি বাদী হয়ে জাকির হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রথমে বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরী ও ১৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করেন।