প্রচন্ড গরম থেকে একটু প্রশান্তির জন্য বিকেলে ঘুরতে বের হয়েছিলাম সহকর্মী ফয়েজ আহম্মেদ শাওনের মটোর বাইকে করে। নির্জন-নিরিবিলি এলাকা বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের নরোত্তমপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের পাশ ঘেষে রাস্তা দিয়ে কবির হোসেনের বাড়ির সামনে যেতেই চোখে পড়ে একটি ব্রিজ। ব্রিজে উঠে ওপারে নামতেই চরমভাবে আতঙ্কিত হলাম আমরা। অন্য মনস্ক হয়ে ব্রিজ পারি দিলেই ঘটতে পাড়তো বড় ধরণের কোন দূর্ঘটনা। আল্লাহর রহমতে তা হয়নি। ব্রিজের ওপরে নেমেই মৃত্যুপুরি পার হয়ে কথা বললাম ওই এলাকার মানুষের সাথে। তারা জানান, প্রায় ৪ মাস পেড়িয়ে গেছে এই ব্রিজটি এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। যেটুকু কাজ করা হয়েছে তাতে অনেক নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কাজের শেষের দিকে এলাকার বৃদ্ধজন, শিশু এমনকি রোগীদের কথা বিবেচনা করে চলাচলের সামান্য উপযোগী করে দেয়ার অনুরোধ করলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কেউ তাদের অনুরোধ রাখেন নি বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করেণ। তবে কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বা কতো টাকা ব্যয়ে ওই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে তা তারা জানাতে পারেননি। এমনকি ব্রিজের কোন স্থানে ব্যয় ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম সম্বলিত কোন ন্যাম প্লেট সাঁটানো ছিলোনা। এলাকাবাসী আরও জানান, পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে নিজেরাই এ্যাপ্রোচের সাথে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকোর মতো করে বানিয়ে তারা চলাচল করছেন। তবে চলাচল করতে গিয়ে বৃদ্ধজন ও শিশুরা প্রায়ই দূর্ঘটার শিকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন মৃত্যুপুরি এই ব্রিজটির এ্যাপ্রোচ ঠিক করে দেয়ার। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির জানান, ব্রিজের এক পাশের এ্যাপ্রোচের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, টানা বর্ষণের কারণে অন্য পাশের কাজ বন্ধ ছিলো, এখন শুরু করা হবে।