ঢাকামঙ্গলবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বা‌লি‌তে আট‌কে গে‌ছে ২৭০ টি তি‌মি মাছ। উদ্ধার কাজ চল‌ছে।

অনলাইন ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০ ১১:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া দ্বীপের বালির চরে আটকে পড়া ২৭০টি তিমিমাছকে উদ্ধার করার পরিকল্পনা করছেন সামুদ্রিক জৈববিজ্ঞানীরা। তবে ইতিমধ্যেই ২৫টি পাইলট তিমি মারা গেছে বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের। খবর দ্য ওয়ালের।

তাসমানিয়ার ‘পার্কস্‌ অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিস’ এর আঞ্চলিক ম্যানেজার নিক ডেকা সোমবার বলেন, ‘তাসমানিয়ায় বালির চরে মাঝেমাঝেই আটকে যায় তিমি বা ওই জাতীয় বড় সামুদ্রিক প্রাণী। কিন্তু এবার যেন সংখ্যাটা অস্বাভাবিক রকমের বেশি। গত ১০ বছরে এতগুলি তিমিকে একসঙ্গে আটকে পড়তে দেখিনি আমরা।’

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রথমে মনে করা হয়েছিল হয়তো ৭০-৮০টি তিমি আটকে আছে বালিতে। কিন্তু পরে সেই সংখ্যাটা অনেকটা বেশি বলে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।

তাসমানিয়ার পরিবেশ বিভাগ সূত্রের খবর, ওই দ্বীপের ম্যাকোয়্যার হেডস্‌ অংশের অগভীর অংশে মূলত আটকে রয়েছে তিমিগুলি। বালি-কাদার থকথকে চরে আটকে গিয়েছে ভারী শরীর। তিনটি দলে তারা আছে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার সকালে খবর পেয়েই দুপুরের মধ্যে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে উদ্ধারকাজে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা এবং এখন পর্যন্ত ১৯০ টিরও বেশী তি‌মি‌কে উদ্ধার কর‌তে সক্ষম হ‌য়ে‌ছেন।

জানা গেছে, এমনিতেই প্রতি দু-তিন সপ্তাহে তাসমানিয়ার উপকূলে তিমি বা ডলফিন আটকে পড়ার খোঁজ নেন সরকারি বিজ্ঞানীরা। এবারেও তেমনটা করতে গিয়েই এত সংখ্যক তিমির খোঁজ মেলে।

এর আগে ২০০৯ সালে শেষ এত সংখ্যক তিমি আটকে পড়তে দেখা গেছিল তাসমানিয়ার বালির চরে। সেবার প্রায় ২০০ তিমি আটকেছিল। ২০১৮ সালে ১০০টিরও বেশি পাইলট তিমি মারা গেছিল। সামুদ্রিক ডলফিন প্রজাতির এই পাইলট তিমিরা সাধারণত লম্বায় সাত মিটার এবং এদের ওজন হয় প্রায় তিন টন।

তিমিরা সাধারণত দলনেতাদের পেছন পেছন ঝাঁক বেঁধে যেকোনো জায়গায় যায়। সেই কারণে কোথাও বিপদ এলে দলনেতারা অর্থাৎ পাইলট তিমিরাই আগে আক্রান্ত হয়। বাকি তিমিরা নেতাদের ফেলে রেখে চলে যায় না। দলবেঁধেই থাকে তারা। সেই কারণেই এখানেও সমস্ত তিমিই যে বিপদে পড়ে গেঁথে গিয়েছে তা নয়। কিন্তু স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের কারণেই তারা নিজেদের সরিয়ে নিয়ে যায়নি দল থেকে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।