ব্রেক্সিট চুক্তির একটি ধারা মানতে অস্বীকার করায় যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আগেই তারা আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়ে রেখেছিল। বুধবার অভ্যন্তরীণ বাজার সংক্রান্ত বিল বাতিল করার জন্য
যুক্তরাজ্যকে দেওয়া ইইউ’র সময়সীমা পার হয়ে যায়। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে বিলটি নিয়ে ইইউ-এর উদ্বেগের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, তারা চিঠির জবাব দেবে।
প্রায় তিন বছর আগে ব্রিটিশ জনগণের গণভোটে দেওয়া রায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এ বছরের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১ টায় ‘ব্রেক্সিট’ কার্যকর করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায় ব্রিটেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হয় ব্রেক্সিট বিল।
ব্রেক্সিট বিল পাস হওয়ার আগে এই বিচ্ছেদ কার্যকর করতে বেশ কিছু শর্ত নিয়ে ইইউ’র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বরিস জনসন। আন্তর্জাতিক আইন মতে, ওই চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য দু’পক্ষই। তবে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে সম্প্রতি ‘অভ্যন্তরীণ বাজার সংক্রান্ত বিল’ নামের একটি আইন পাস করা হয়েছে; যা ব্রেক্সিট চুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই বিল অনুযায়ী, চাইলেই যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট চুক্তির বদল ঘটাতে সক্ষম।
বিলটি পাস হওয়ার আগেই মামলার হুমকি দিয়ে রেখেছিল ইইউ। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দেও লিয়েন বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বাজার সংক্রান্ত বিল’-এর বিতর্কিত অংশটি বাদ দিতে ব্রিটেনকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বিলটি ‘বিচ্ছেদ চুক্তি’ ও দুই পক্ষের আস্থার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি একেবারেই স্ববিরোধী।
মামলার জন্য আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাঠালেও আলোচনার পথ থেকে সরে আসতে চায় না যুক্তরাজ্য। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ বাজার সংক্রান্ত বিলের বিতর্কিত অংশ প্রত্যাহার করতে তারা নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিচ্ছে। এদিকে ব্রিটিশ সরকার বলছে, যুক্তরাজ্যের প্রত্যেক অংশের অর্থাৎ-ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্য নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য এই বিল অত্যন্ত প্রয়োজন। সরকার খুব শিগগির ইইউ’র নোটিশের জবাব দেবে।