সোমবার সৌদির একটি আদালত সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার ঘটনাযর চূড়ান্ত রায় দিয়েছে তারা আগের দেয়া পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাহার করেছে, এই মামলার রায়ে বলা হয়েছে যে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগির সৌদি হিট স্কোয়াডের হাতে নিহত হইয়াছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আদালত পাঁচ জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে এবং তিন জনকে সাত থেকে দশ বছরের মধ্যে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিত আটজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খাশোগির ছেলেরা মে মাসে বলেছিল যে তারা হত্যাকারীদের “ক্ষমা” করে দিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের পরে এই রায় এসেছে, জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞে এই রায়কে “ন্যায়বিচারের বিড়ম্বনা” বলে নিন্দা করা হয়েছে।
খাশোগগি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট পরিদর্শন করতে গিয়ে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর নিখোঁজ হন। পরে তুর্কি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছে যে সৌদি হিট স্কোয়াডের একটি দল তাকে কনস্যুলেটের ভিতরে হত্যা করেছে। তাঁর লাশ আর কখনও পাওয়া যায়নি।
মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং একটি স্বাধীন জাতিসংঘ তদন্তকারী দল এই বিচারের ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন,এই বিচার এবং আদালতের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্নে আনা হয়েছিল।
ওয়াশিংটন, ডিসির আরব কেন্দ্র থেকে আসা খলিল জাহান প্রসিকিউটরের অফিসে উল্লেখ করেছেন যে এই ঘোষণা “মামলাটি চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেয়”।”সবচেয়ে বড় কথা, জামাল খাশোগির মৃতদেহটি কোথায়?তাঁর দেহের কী ঘটেছিল ? জামাল খাশোগির এক পরিবারের বন্ধু জাহান বলেন “পুরো রায়টি আমার কাছে কারচুপি করা হয়েছে বলে মনে হয়।