ঢাকাসোমবার , ৩১ আগস্ট ২০২০
  1. casino
  2. অনান্য
  3. অপরাধ ও আইন
  4. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  5. অর্থনীতি
  6. আত্মসাৎ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. ইতিহাস
  9. উদ্যোক্তা
  10. এশিয়া
  11. কৃষি
  12. ক্যাম্পাস
  13. খেলাধুলা
  14. গণমাধ্যম
  15. গল্প ক‌বিতা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্ত্রী ডিভোর্স দিলে দেনমোহরের টাকা পাবে কেন?পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশন।

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ৩১, ২০২০ ৯:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আমাদের দেশে বর্তমানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী স্ত্রী ডিভোর্স দিলেও তাকে দেনমোহর পরিশোধের বিধান রয়েছে। আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়ে শনিবার বিকেলে ‘স্ত্রী ডিভোর্স দিলে দেনমোহরের টাকা পাবে কেন?’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশন।

সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত বিয়ের সময় পাত্রীপক্ষ জোর করে পাত্রকে সাধ্যের অতিরিক্ত টাকা কাবিননামায় ধার্য করতে বাধ্য করেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব কাবিন হয় বাকিতে। অর্থাৎ কনেপক্ষের দাবি অনুযায়ী, কাবিন করা হলো ১০ লাখ। এর মধ্যে গহনা ও অন্যান্য জিনিস বাবদ ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে পুরোটাই বাকি রাখা হয়।
তিনি বলেন, ইসলামী বিধান হলো বিয়ের সময়ই দেনমোহর পুরোটা পরিশোধ করা। তবে এই কথা কে শোনে? বাকি থাকা বা বাড়তি এই দেনমোহন পরে কাল হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন কেস স্টাডি থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত দেনমোহরের কারণে স্বামী তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনের অনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন।
তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার আয়াত নং- ২২৯ অনুসারে যদি কোনও স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে মুক্ত হতে চান; তবে কোনোকিছুর বিনিময় হতে হবে, যা তার মোহরানার অতিরিক্ত হবে না। তাই ইসলাম অনুসারে দেখা যায়, স্ত্রী কর্তৃক স্বামী ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্ত্রী স্বামীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের দেশীয় আইন অনুযায়ী স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিলেও স্বামীকে দেনমোহর প্রদান করতে হয়, যা ইসলামের সঙ্গে পুরোপুরি সামজ্ঞস্যপূর্ণ নয়।
বক্তরা অভিযোগ করে আরও বলেন, এই আইনটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কিছু ‘দুষ্টু নারী’ বিয়ের নামে কাবিনের ব্যবসা করছে। ওই সমস্ত নারীরা বিয়ে করে এবং এম মাস পরে স্বামীকে তালাক দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করে। অথচ স্বামীরা নিরুপায়। কারণ আইনে আছে স্বামীকে কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে হবে।
শেখ খায়রুল আলম বলেন, লন্ডন প্রবাসী এক নারী প্রতি বছর বাংলাদেশে এসে বিয়ে করে কাবিনের ২০ লাখ টাকা নিয়ে যায়। যার শিকার হয়েছে আমার পাশের গ্রামের এক ছোট ভাই। অনেক নারী কাবিনের ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছে। তাই বহু বিবাহ রোধে বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করা হোক। এভাবে চলতে পারে না।’ পাশাপাশি বাংলাদেশ বাংলাদেশ পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই আইনটির সংশোধনের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির মহাসচিব প্রকৌশলী ফারুক শাজেদ শুভ, জেএইচখান শাহীন, মো. আনোয়ার হোসেন, পটুয়াখালী শাখার আহ্বায়ক কাজী মো. সুমন, সাকসেস হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. সোবাহান বেপারী, ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক লিটন গাজী।

দৈনিক অপরাজিত বাংলা

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।