অমি রহমান পিয়ালঃ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু কইয়া ঈমান আনলেই হইয়া যায়? না, এতো সোজা না। সবার আগে ক্বলবে লাগে দেশপ্রেম!
এইটা স্বাধীনতাবিরোধীদের দল না, এটা জেনারেলগো দল না, এইটা ভীনদেশের ফরেন পলিসি মাইনা ভীনদেশরে আব্বা ডাকাগো দল না। এইটা বাংলাদেশের দল।
এই বাংলাদেশ নাম দিছেন বঙ্গবন্ধু। এই দেশের স্বাধীনতায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিছে আওয়ামী লীগ। যুদ্ধাপরাধীগো বিচার করছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী অর্থ জনগন, আওয়ামী লীগ আমজনতার দল।
অপারেশন সার্চলাইটের হিটলিস্টে একনম্বরে রাইখা আওয়ামী লীগরে নির্মূল করা যায় নাই। জাতির পিতারে হত্যা কইরা আওয়ামী লীগ নির্মূল করা যায় নাই।
লাঠি গুলি টিয়ারগ্যাস, গোপন ষড়যন্ত্র, আর্জেস গ্রেনেড- কিছুতেই ঠেকানো যায় নাই আওয়ামী লীগরে। বরং প্রবল প্রতিজ্ঞায় আরো ঋদ্ধ আরো শক্তিশালী হইছে আওয়ামী লীগ।
আজ গবাদিরা দুই টাকার মোবাইলে ফেসবুকিং করতে পারে, ওই ডিজিটাল বাংলাদেশ দিছে আওয়ামী লীগ।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, কাজ চলতেছে পাতাল রেলের। অন্তরীক্ষে আছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
আরে সিনা টান কইরা মাথা উচু কইরা আওয়ামী লীগ করি। হ দোষ অনেক ধরতে পারবা।
কোটি মানুষের ভিড়ে কয়েকটা মানিক, কয়েকটা সাহেদ, কয়েকটা পাপিয়া ঠিকই পাইবা। কিন্তু অর্জন যা কইলাম তার একটার ধারে কাছে আছো কিনা দেখো তো?
এতিমের টাকা মাইরা জেল খাটে তোমাগো নেত্রী, একজনও রাস্তায় নামলা না। ধর্ম ব্যবসায়ী সবগুলা ভিত্রে, কই রাস্তায় নামলা না। সব হাউকাউ ফেসবুকে। এইডা ছিড়বা ওইডা ছিড়বা। বহুত তো দেখলাম। এইবার লাইনে আসো।
আর কতো বাংলাদেশের উন্নয়নের খবরের নিচে মিছা কথা লিখবা, বাপেগো স্বান্তনা দিবা! দেশটা তো তোমারও নাকি? না আওয়ামী লীগ করতে কই না তোমাগো। ওই কাম কইরো না। জাস্ট মিছা কথা ছাড়ো, পাপ ছাড়ো। সৎ হও। আর কিছু না পারো দেশের ক্ষতি কইরো না।
আওয়ামী লীগ একটা পরিবার। আমরা জাতির পিতা মানি শেখ মুজিবরে। শেখ হাসিনা রেহানা আমাগো বোন। এই পরিবারের সবাই সবার ভাইবোন, আত্মার চেয়ে বড় আত্মীয় আমরা পরষ্পর। এবং দিনশেষে আমরাই বাংলাদেশরে দেইখা রাখি। তোমাগো মতো সিঁদ কাটি না…
শুভ ৭২ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ!
জয় বাংলা… জয় বঙ্গবন্ধু… জয় শেখ হাসিনা
শুভেচ্ছা সকল আওয়ামীমনা যোদ্ধাকে।