ঢাকাশনিবার , ২০ মার্চ ২০২১
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ

আওয়ামী লীগে মৌলবাদের প্রবেশ…

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২০, ২০২১ ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অপ্রিয় হলেও সত্য ২০১৪ সালের পরে থেকে আওয়ামী লীগের নতুন বিবর্তন যুগের সুচনা হয়েছে। এক সময়ের মৌলবাদী, ধর্মান্ধ, রাজাকার, জঙ্গীরা খোলস পাল্টে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে এসেছে, আর যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশী কাজ করেছে সারাদেশের প্রতিটা সংসদীয় এলাকার এমপিদের বাড়ির আত্মীয় স্বজন ও এমপিদের বউ এর বাপের বাড়ির আত্মীয় স্বজনেরা, দ্বিতীয় পর্যায়ে দলীয় মনোনয়ন লাভের পর নিজেদের কে অনেকটা গডের আসনে নিয়ে যায় এইসব এমপিরা। ফলে নিজেদের সংসদীয় এলাকায়, একটি বা দুইটি উপজেলা, একটি বা দুইটি পৌরসভা, নুন্যতম ৯ টি ইউনিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ১৪-১৫ ইউনিয়ন, প্রতি ইউনিয়নে ৯ টি করে ওয়ার্ড, প্রতি ওয়ার্ডে ২-৩ টি করে গ্রাম, সকল জায়গায় সকল ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা যুবলীগ, ছাত্রলীগের কমিটি গুলো দিয়েই এমপি, এমপির ভাই বোন, এমপির বউ, এমপির শালা সুমন্ধির সরাসরি হস্তক্ষেপেই কমিটি গুলোতে মাই ম্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রকলের মাধ্যমেই বহিরাগত বিএনপি মৌলবাদী জঙ্গী জামাতি হেফাজতিদের প্রবেশ সফল ভাবেই আওয়ামী লীগে হয়েছে। এইক্ষেত্রে এমপির উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ শক্তিশালীর চেয়ে, স্থানীয় এমপির প্রতিপক্ষ গ্রুপ কে চাপে রেখে নিজের আধিপাত্য বৃদ্ধিই ছিলো প্রধান ও অন্যতম উদ্দেশ্য।

আজকে ২০২১ সালে এসে আওয়ামী লীগের সেই বহিরাগত মৌলবাদী, জঙ্গী, হেফাজতি, জামাতি, বিএনপিরা বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য নিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদী পুডুখোর মামুনুলেরা হুমকি দেওয়ার পরে সারা দেশে অনেকে প্রতিবাদ করেছে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে, খোঁজ নিয়ে দেখুন তাদের কোন পদ পদবি নাই, অপরদিকে পদ পদবী রয়েছে এমন যারা প্রতিবাদ করেছে, তারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে না যতোটা তার চেয়ে বঙ্গবন্ধু নামের সাইনবোর্ড যেন হাত ছাড়া না হয়, ব্যবসা যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য আন্দোলন করেছে। ইহা মনগড়া কোন বাস্তবতা নয়, সারাদেশের ভালো একটা অংশের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মুল্যায়নের ভিত্তিতেই লিখেছি।

ওয়াজ মাহফিলে আওয়ামী লীগের লোকেরা যাবে না, যেতে পারবে না, এমন কোন কথা নয়। তবে কোন ওয়াজ মাহফিলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী এমপি মন্ত্রীরা যাবে এইটা একটা বিষয়।

ধরেন রাজাকার সাঈদির ঘেটুপুত্র মিজানুর রহমান গাজাহারীর কথাই বলি, গাজাহারীর ওয়াজে অনেক আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানঅতিথি হয়ে উপস্থিত থেকেছে। এর মধ্যে সব গুলোতে যে অনিচ্ছায় হয়েছে তা নয়, অনেক গুলো ইচ্ছায় হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এর কারন কি ? এক, ম্মিজানুর রহমান গাজাহারীরা তাদের ওয়াজ ব্যবসার অনুমতির জন্য বরাবর পরামর্শ দিয়ে থাকে যে স্থানীয় এমপি বা মন্ত্রীকে যেন প্রধান অতিথি করা হয়, তাহলে স্থানীয় ভাবে কেউ বিরক্ত করবে না, অপরদিকে সরকারের কোন বিধিনিষেধ কোন সমস্যা তৈরি করতে পারবে না। ফলে মন্ত্রী এমপিদের সাথে পরামর্শ করেই আয়োজকেরা তারিখ চুড়ান্ত করতো, এইক্ষেত্রে এমপি মন্ত্রীর লাভ হলো অনেক গুলো লোক হাজির হবে, সেখানে কয়েক মিনিট বক্তব্য রাখতে পারবে।

অপরদিকে অনেক আয়োজক যারা আওয়ামী লীগের নাম শুনতে পারে না, তারা পোষ্টার দাওয়াতপত্রে এমপি মন্ত্রীর নাম ছাপিয়ে সেই পোষ্টার দেওয়ালে লাগিয়ে, তারপরে দাওয়াত পত্র নিয়ে এমপি মন্ত্রীর কাছে হাজির হয়ে দাওয়াত দেয়, এমপি বা মন্ত্রী সাহেব যদি বলে যে যাবে না, সম্ভব না বা ঐদিন উনার প্রোগ্রাম আছে, তখন আয়োজকেরা বলে যে, দাওয়াত দেওয়া হয়ে গেছে, এখন না গেলে পাবলিক কি বলবে না বলবে, এতে আপনার সম্মান কমবে কিংবা ঐখানে বসেই প্রধানবক্তা ধর্ম ব্যবসায়ীর ফোনে ফোন দিয়ে এমপি মন্ত্রীর সাথে কথা বলিয়ে দিয়ে ওয়াজে হাজির থাকতে বাধ্য করায়।

অর্থ্যাৎ ওয়াজ যেমন একটা ধান্দাবাজী, ওয়াজের অনুষ্ঠানে সরকারী দলের এমপি মন্ত্রীর উপস্থিতি থাকা নিশ্চিত করাটাও এক ধরনের ধান্দাবাজী। আর এমপি মন্ত্রী যেই প্রোগ্রামের প্রধান অতিথি হয়, সেই প্রোগ্রামে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা এমপিতেই উপস্থিত থাকে বাধ্য হয়ে।

তো এই হলো সারাদেশের আওয়ামী লীগে বহিরাগত, মৌলবাদী, জঙ্গী, বিএনপি, জামাতি, হেফাজতি প্রবেশের সিষ্টেম এবং ওয়াজ মাহফিল গুলোতে এমপি মন্ত্রী, জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের উপস্থিত থাকার পলিসি।

প্রাসঙ্গিক কথা হলো, এর মধ্যে আবার এমন অনেক ওয়াজ মাহফিল আছে সেইসব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজক হয় আওয়ামী লীগের নেতারা। উপরের ব্যাখ্যার সাথে আয়োজক আওয়ামী লীগের ওয়াজ বিষয়টা বাদ যাবে।

সেজন্য বললাম ২০২১ সালের আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নাই। অসাম্প্রদায়িকতা শুধুই মুখে, আওয়ামী লীগার হতে চাইলে স্থানীয় এমপি মন্ত্রীর ভাই, বোন, শালা, সুমন্ধি ম্যানেজ করলেই হয়ে যাওয়া যায়। নীতি, অসাম্প্রদায়িকতা, দিয়ে বাল ফালানোর সময় নাই কারো হাতে।

সুনামগঞ্জে আবার মামুনুল যাবে পোষ্টারে লীগের নেতাদের নাম কেউ কেউ জিডি করেছে খবরের প্রতিক্রিয়া হলো, যদি শাল্লায় হেফাজতের লোকেরা হিন্দু‌দের বাড়ি ঘরে হামলা না চালাতো তাহলে আজকে সুনামগঞ্জের ঐ আওয়ামী লীগ নেতা জিডি করে এক্সিট নিতো না।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।