ঢাকাশনিবার , ২৮ অক্টোবর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ

মিথ্যার জয়োল্লাসে আকাশ বাতাস মুখরিত হবে।।

আবুল কাসেম
অক্টোবর ২৮, ২০২৩ ৮:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্মরণকালের বিএনপির প্রতিটি সমাবেশ খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সারাদেশে বিএনপি নতুন করে আন্দোলন শুরু করে এক-দেড় বছর আগে থেকে। পুলিশের গুলিতে বিএনপি ও ছাত্রদলের পঁচিশ জনের বেশি নেতাকর্মী নিহত হয়। হাজার হাজার মামলা হয় নতুন করে এবং গণগ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও বিএনপির আন্দোলনের গতি সংঘর্ষের দিকে ঘুরে যায়নি। অসীম ধৈর্যের আন্দোলন করে বিএনপি প্রসংশা পেয়েছে। কিন্তু, এবার হলো কি? কেনো বিএনপির নেতাকর্মীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলো? বিএনপির আন্দোলনের গতি যখন সরকার পতনের চূড়ান্ত ঘন্টাধ্বনি বাজাচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে সরকার পতনের চিন্তা বাদ দিয়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়ালেন কেনো, তা তদন্তের দাবি রাখে। আওয়ামী লীগ ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ঘোষণা দিয়েছে বহু আগে। সেই অবস্থান থেকে তাঁরা সরে যে আসেনি, তা তাঁদের ইদানিংকার কথাবার্তা থেকে বুঝা যায়। লুটপাট, টাকা পাচার, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত, সেবা খাতের মূল্য বাড়িয়ে অভাব-অনটনের সুড়ঙ্গ দিয়ে জাতিকে জাহান্নামে না পাঠানো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় বহাল থাকা জরুরি। এজন্য তাঁরা একটার পর একটা কৌশলের মারপ্যাঁচে সবাইকে হাবুডুবু খাইয়ে, নাকানিচুবানি দিয়ে ধ্বংসের চোরাবালিতে আটকে দিতে কসুর করছেনা, করবেওনা। বিএনপি, জামায়াত ও আন্দোলনরত দলগুলো যদি আওয়ামী লীগের প্রহসন ও কূটকৌশল ধরতে ব্যর্থ হয় তাহলে সরকার পতনের আন্দোলন দুয়ারে এসেও ঘরে ঢুকতে পারবেনা। এখন তদন্ত করতে হবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের লগি-বইঠা তত্বে বিশ্বাসীরা ঢুকে পুলিশকে উত্তেজিত করেছে কিভাবে। পুলিশ কি কারণে বিএনপির সমাবেশের শুরুতেই মুহূর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণ ঘটালো এবং বৃষ্টির মতো টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলো। বিএনপির নেতারা মঞ্চে টিকতে পারেননি। তাই তাঁরা মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দূরদূরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীর হতবিহবল হয়ে নয়াপল্টন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মানুষের মুখে মুখে আলোচনা হচ্ছিল সরকারের পতন সময়ের ব্যপার মাত্র। নভেম্বরের ৩ তারিখের মধ্যে নাকি সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দেবে এমন একটি কথা টকশো থেকে বিশ্লেষকদের মুখে শোনা গেছে। তলে তলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা ছিলো অন্যটা তা কেউ বুঝতে পারেনি। পুলিশ আর আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন তফাত রাখা হয়নি। ২০১৮ সালে পুলিশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বহাল রেখেছে রাতের আঁধারে ভোটের বাক্স ভর্তি করে। সেই পুলিশ তো এখনো আছে। তবে এবারের পরিকল্পনা ভিন্ন। এবার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সমম্বয়ে একটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়ে তাঁরা মাঠে নেমেছে। সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, লাশ ফেলে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দিয়ে দমনাত্মক ভূমিকা নেবে। মাঠ ছাড়া করে দেবে। এখন মামলা আর ধরপাকর চলবে সমানতালে। বিএনপিকে যে বার্তা দিতে চায়, তা হলো ঘরে ঢুকে চুপচাপ বসে থাকো, নয়তো জেলের ঘানি টানতে হবে। তবে ঘটনা যেটা ঘটানো হয়েছে জেলের ঘানি টানিয়ে ছাড়বে। নিস্তার নেই বিএনপির গনতান্ত্রিক আন্দোলনের। আগামী দিনে গনতন্ত্রের মৃত্যু বরণ হবে। মানবাধিকার মারা যাবে। সত্য জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। মিথ্যার জয়োল্লাসে আকাশ বাতাস মুখরিত হবে।।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।