বঙ্গবন্ধুর খুনী পরিবারের মেয়ের জামাই হয়ে বরাবর আওয়ামী বিরোধী লন্ডন প্রবাসী নিঝুম মজুমদার যখন সোস্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগ ডিফেন্ড করে, তখন কারো কি মনে প্রশ্ন জাগে না, কেন নিঝুম মজুমদার হঠ্যাৎ করে আওয়ামী দরদী হয়ে গেলো… ?
আমাদের অনেকেই দেখছি নিঝুম মজুমদারের বক্তব্য কে রেফারেন্স হিসেবে শেয়ার করে, তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা কেন ভাই? আওয়ামী বিরোধী নিঝুম মজুমদার কি এমন নতুন বলে বলছে যা আমরা বা আমাদের মত অনেকেই বলে আসিনিই বা বলছি না ?
আবারো জানতে চান নিঝুম মজুমদার সম্পর্কে?
এই বাংলাদেশে এমন একটা রেফারেন্স খুঁজে দেখান দেখি যে, বিএনপি জামাত বা তাদের মতাদর্শের কোন নেতা কর্মীরা কখনো বলেছে যে তারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী… পাবেন খুঁজে? দেখাতে পারবেন? আশা করি পারবেন না। বিএনপি জামাত যেমন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, তদ্রুপ নিঝুম মজুমদারের লম্পটেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। কথা হলো, আওয়ামী লীগের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করুক যে কেউ, সমস্যা নাই। কিন্তু রাজনৈতিক মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে যদি কোন ব্যাক্তি নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ফলে দাবী করে, তখন তার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বলাটা গালগল্পে রুপান্তরিত হয়।
নিঝুম মজুমদার, তার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে এইখানে কিছুই বলছি না। তবে ব্যাক্তি হিসেবে চরম লম্পট, ইতর শ্রেনীর একজন মানুষ এই নিঝুম মজুমদার। অতি সাম্প্রতিক একটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, এস কে সিনহার কথা মনে আছে? বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ছিলো, সেই এস কে সিনহার একটা বিতর্কিত বই, যেই বইয়ে এস কে সিনহা নিজে নেংটা হয়ে অন্যের কাপড় ঠিক করতে চেয়েছিলো, মনে আছে তো? নিঝুম মজুমদার এস কে সিনহার সেই বইয়ের রচনালগ্নে রাইটার হিসেবে কাজ করেছে, পরবর্তি সময়ে লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যার কারনে এস কে সিনহা টিমের সাথে দুরুত্ব তৈরি হলে নিঝুম’কে বই রচনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মোট কথা বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশ সরকার তথা আওয়ামী লীগ বিরোধী যেই গ্রুপটা কাজ করছে, সেই গ্রুপের একজন সদস্য ছিলো নিঝুম মজুমদার, সেই নিঝুম মজুমদার এখন আওয়ামী লীগের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গলা ফাটায়, যখন সেই গলা ফাটানো শেয়ার করেন, তখন কি নিজেকে নিজেই জিজ্ঞেস করেন না, কেন নিঝুম ১৮০ ডিগ্রি এঙ্গেলে পল্টি দিলো?
এই ফেসবুকের আনাচে কানাচে ঘুরাফেরা করলে নিঝুম মজুমদারের এমন সব স্কিনসর্ট পাবেন যেসব স্কিনশর্টে বঙ্গবন্ধু কন্যা, সজীব ওয়াজেদ জয়, আওয়ামী লীগ কে কটাক্ষ করেছে নিঝুম মজুমদার। সেই নিঝুম আওয়ামী লীগ ডিফেন্ড করছে, শুধু তাই নয় তার পরিচিত জনদের কে সে বলছে সে একাই ফাইট করে আওয়ামী লীগ টিকিয়ে রাখছে আর তাই আওয়ামী লীগ নিঝুম মজুমদার কে কেন্দ্রীয় উপকমিটিতে পদ দিতে চাচ্ছে… প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামী লীগে কি নেতা কর্মীর অভাব পরেছে যে বঙ্গবন্ধুর খুনী পরিবারের মেয়ের জামাইকে এনে দলে চেয়ার দিবে…
এক শ্রেনীর আওয়ামী লীগারদের বলছি, নিঝুম মজুমদার একজন আইনজীবি হিসেবে লন্ডনে প্রচুর বাঙ্গালী নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে আসছে দিনের পর দিন ধরে, কিভাবে সে ব্ল্যাকমেইল করে তাও বলে দিচ্ছি, লন্ডনের অন্দর মহলে একটু কান পাতলে শুনতে পারবেন আমার কথা গুলোর সত্যতার বিষয়ে। ধরেন বাংলাদেশ থেকে কোন নারী লন্ডনে গেলো রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলো বা অন্য ভাবে স্থায়ী হতে আবেদন করতে চাইলো, তখন একটা আইনজীবি লাগে, নিঝুমের এক শ্রেনীর ভাড়াটিয়া আছে, ঐ অজান্তা টজান্তা টাইপের আর কি, তারা আবেদন প্রার্থী নারীকে আইনজীবি নিঝুমের কাছে নিয়ে যায়, নিঝুম নারীদের সকল ডকুমেন্ট ফাইল আকারে নিজের কাছে নিয়ে কাজ করবে বলে, এক অবস্থায় ফ্লেভার চায় না হলে ঐসব ফাইল পাবলিকলি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
ভেরি রিসেন্টের একটা ঘটনা, আইরিশ বাঙ্গালী মডেল মাকসুদা আক্তার প্রিয়ন্তিকে চিনেন তো? সিঙ্গেল মাদার এই ভদ্র মহিলার জীবন দুর্বিসহ করতে এমন কোন ব্ল্যাকমেইল বাদ রাখেনি সে যা করেনি, ডিপ্রেশনে চলে যাওয়া প্রিয়ন্তি ঘুরে দাড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু লন্ডনের ঐসব নারী, যারা না পারছে বলতে, না পারছে সহ্য করতে, তাদের অবস্থাটা চিন্তা করেছেন ?
এমন আরো অনেক ঘটনার জন্মদাতা চরম লম্পট ইতর এই নিঝুম। আমার বলা কথা গুলো নিঝুমের ব্যাক্তিগত কোন জারিজুরি ছিলো না। একদম প্রফেশনাল নিঝুমের গল্প ছিলো এইসব। উপরের উক্ত দুইটা বিষয়ে উল্লেখ করার অন্যতম কারন হলো, উল্লেখিত ঘটনা গুলো থেকে নিঝুমের নামে অন্তত চার জন নারী প্রতিবাদ দেখাতে চেয়েছিলো, লম্পট নিঝুম বুঝেছিলো রক্ষা পাবে না, লন্ডনে যাচ্ছে তাই অবস্থা তার, এইদিকে বাংলাদেশেও যাচ্ছে তাই, সেকারনে নিজের পিঠ বাঁচাতে রাতারাতি অতি আওয়ামী বান্ধব রুপে নিজেকে সাজিয়েছে নিঝুম। এমন অবস্থায় গ্যারান্টি দিয়ে বলছি একদা আওয়ামী বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী চক্রের সদস্য নিঝুমের সামনে বর্তমানে গিয়ে যদি কেউ আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তাহলে তার শক্ত প্রতিবাদ জানাবে নিঝুম, কারন বাংলাদেশে পায়ের তলার মাটি চাইলে আওয়ামী লীগের পিঠে তার উঠতেই হবে। আর তাই বর্তমানের নিঝুম চরম আওয়ামী প্রেমী।
এমন অবস্থায় আমাদের মধ্যে থাকা যারা নিঝুমের ডিফেন্ডশীপ রেফারেন্স আওয়ামী লীগের জন্য মঙ্গলজনক হিসেবে প্রচার করছেন বা করার চিন্তা করছেন, তাদের বলবো, ভালো হয়ে জান, আমরা আপনাদেরও চিনে রাখছি, লাল দাগে পা দিয়েন না।
