
সুলতান মির্জা
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের হাত নাক মুখ ভেঙ্গে দেওয়ার মামলার আসামী সিসি টিভি ফুটেজ দেখে নির্নয় করা বোকামী হবে। ভাষ্কর্য ভাংচুর মামলায় উষ্কানীদাতা হিসেবে মামুনুল কে আসামী করতে হবে, বাবু নাগ্রীকে আসামী করতে হবে, আসামী করতে হবে চর্মনাই ফয়জুর কে, আসামী করতে হবে যেসব ধর্ম ব্যবসায়ী ওয়াজীরা গত এক সপ্তাহ ধরে ভাষ্কর্য বিরোধী উষ্কানী দিয়ে সারাদশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সভা বা ওয়াজ করেছে তাদের, প্রমান হিসেবে ইউটিউবের ভিডিও গুলো দেখে নেওয়া যেতে পারে, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাংচুর মামলার আসামী করতে হবে ভাষ্কর্যের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া ৯৫ ধর্ম ব্যবসায়ী জংগী সন্ত্রাসীদের।
আসামী করে বসে থাকলেই হবে না, গ্রেপ্তার করতে হবে।
সোজা কথা কুষ্টিয়ায় যারা বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাংচুর করেছে তারা ছিল মাঠের কামলা, এরা অপরাধী, এরা যাদের কথায় অনুপ্রানীত হয়ে এই জগন্য কাজ করেছে তাদের সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলো কি না হলো সেইসব ভেবে লাভ নাই। ধর্ম ব্যবসায়ীরা এই দেশের মালিক নয়, ধর্মীয় লেবাসের কোন আলেম ওলামা এই দেশের মালিক নয়। এই দেশের মালিক বঙ্গবন্ধু, এই দেশের মালিক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৩০ লক্ষ বীর, আড়াই লক্ষ মা বোন যারা নিজেদের সব কিছু হারিয়েছে বাংলাদেশের জন্য।