পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

২০০৮ সালের দিন বদলের সনদ শিরোনামের আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ ছিলো, ওয়াদা ছিলো আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করবে। সেই অনুযায়ী আওয়ামীলীগ তার ওয়াদা মত পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করেছে, ভাগ্যক্রমে নিজেদের ক্ষমতার সময়েই সেটা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে আগামী ২৫শে জুন তারিখে। এমন অবস্থায় পদ্মা সেতু নিয়ে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সর্বসাধারন মানুষের মত উত্তেজনা ও তৃপ্তির শেষ নেই সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী সমর্থকদের।

এমন অবস্থায় পদ্মা সেতু যানচলাচলের শুরুর দিন এক হিসেবে পদ্মা পাড়ে বিয়ের মতোই উৎসব হবে। সেই উৎসবে অংশ নিবে বিএনপি জামাতি খয়রাতি মুর্খ অর্বাচিন ছাড়া বাকী সকলেই। অনুষ্ঠান হবে দুইটা

১। সরকারী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেই অনুষ্ঠানে লোকজনের প্রবেশ থাকবে সীমিত, অংশগ্রহন সব মিলিয়ে হাজার খানেক বা তার কিছু বেশি হবে। উক্ত হাজার খানেক ও তার বেশি মানুষ বরন করে নিয়ে সেতু উদ্বোধনে ১৮ কমিটি যে লাগবে না, তা কেবল বিএনপি জামাতি মুর্খ খয়রাতী অর্বাচিন ছাড়া সকলেই তা জানে এবং বুঝে।

২। আওয়ামীলীগের দলীয় অনুষ্ঠান যেখানে ওয়াদা পুরনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অনুভুতি প্রকাশ করবেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা৷ উক্ত দলীয় অনুষ্ঠানে লাখ দশেক লোক উপস্থিত থাকার টার্গেট ফিক্সড করেছে আওয়ামীলীগ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই যে লাখ দশেক লোক আসবে, তাদের আশা যাওয়া বসে কথা শোনা এইসব সুশৃংখল ভাবে শেষ করতে ২০-৫০ টা কমিটি তো হতেই পারে, এটা নিয়ে যারা অবাক হচ্ছে, জিজ্ঞেস করি তোদের রাজনৈতিক প্রোগ্রাম গুলোতে মোট উপস্থিত লোকেদের সংখ্যা কত? আগে হিসেব দে, তারপরে পদ্মা পাড়ে বিয়ে হবে নাকি তোদের শ্রাদ্ধ হবে, সেই ব্যাখ্যা দিচ্ছি…..