ঢাকাশনিবার , ২১ নভেম্বর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের পক্ষে মৌলবাদীদের বিপক্ষে আস্তে আস্তে প্রতিবাদ বাড়ছে। সুলতান মির্জা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২১, ২০২০ ২:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সুলতান মির্জা

সুলতান মির্জা

বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের পক্ষে মৌলবাদীদের বিপক্ষে আস্তে আস্তে প্রতিবাদ বাড়ছে, এইসব           প্রতিবাদকারীদেরও রয়েছে আবার ব্যালান্স নীতি, কৌশলী বক্তব্য, যা দিয়ে মোটেও বিশ্বাস যোগ্য নয় মৌলবাদ দমন হবে।

হাইকোর্টের সামনে থেকে যেদিন থেমিসের ভাষ্কর্য সরানো হলো মুলত সেদিনই বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য থাকতে দেওয়া যাবে না আন্দোলনের সুচনা হলো, এই বাস্তবতা লীগে থাকা যারা সেদিন বুঝতে পারেনি কিংবা ভাষ্কর্যের নির্মাতা মৃনালের ছাত্রদলের সম্পৃক্ততা বা মানহীন ভাষ্কর্য ইত্যাদি নানান অযুহাত দেখিয়ে ভাষ্কর্য স্থাপন একটি চক্রান্ত বলে আখ্যায়িত করে ভাষ্কর্য সরিয়ে ফেলার পক্ষে মত দিয়েছিলো, মুলত সেটাই ছিলো পরবর্তি বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়া আন্দোলনের স্বীকৃতি প্রদান। আমরা সেদিন বলেছিলাম, ভাষ্কর্য এটা ভালো হয়নি, এটা বাদ। ভালো মানের একটা তৈরি করে এইখানে ভাষ্কর্য রেখে দেওয়া হোক তারপরেও কোন ধর্ম ব্যবসায়ী গুষ্টি, মৌলবাদ জঙ্গীবাদীদের কথায় থেমিসের ভাষ্কর্য উচ্ছেদের ফলাফল রাষ্টের জন্য মঙ্গলকর কিছু বয়ে আনবে না। সরকার প্রধান সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেছে ব্যস…
আজকে কি হচ্ছে ? বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য রাখার জন্য বঙ্গবন্ধুর দলের আন্দোলন করতে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর দলের কতিপয় লোকের দ্বাবী জানাতে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্ত্বাধীন সরকারের কাছে, গ্রেপ্তার করতে হবে মৌলবাদী জঙ্গী ধর্ম ব্যবসায়ী মামনুল হক, চুর মোনাইয়ের চোর রেজাউল করিম কে। বিষয়টা যে কতটা দেউলিয়া তত্ত্বের প্রমান উপস্থাপন করে, চিন্তা করলে তা মাথা ঘুলিয়ে যেতে পারে যে কারো…
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সুসময় চলছে গত এক যুগ ধরেই, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের পরে এই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু, আওয়ামীলীগ, শেখ হাসিনা তথা মুক্তিযুদ্ধ অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষের বড় রাজনৈতিক দলটি চরম দুঃসময় অতিক্রম করেছে, বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য স্থাপনা দুরের কথা, প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর নাম, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, বঙ্গবন্ধু নামের চর্চা নিষিদ্ধ ছিলো এই দেশে, তখনো আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক শক্ত অবস্থানের ফলে সব কিছুই হয়েছে রিষ্ক নিয়ে। আজকের সুসময়ের মত এতোটা বৈকলাঙ্গ পরিস্থিতি চোখে পড়েনি।
চুর মোনাইয়ের চুরের কি অবস্থা এখন জানি না, অথচ লম্পট বাষ্টার্ড, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, চেহারা দেখতেই কুকুরের মত ধর্ম ব্যবসায়ী মানুনুল হক প্রতিদিন কথা বলেই যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের বিরুদ্ধে, সরকারে রাজনৈতিক দলে সুসময় অতিবাহিত করা দল আওয়ামীলীগ নিরবে মুলো চিবুচ্ছে। বিষয়টা যে কতটুকু রক্তক্ষরনের তা কল্পনা করাও অনেক কষ্টের।
সোজা কথা, বাংলাদেশ যদি কোন স্বাধীন রাষ্ট হয়, তাহলে তার নাভী হলো আওয়ামীলীগ, হৃদঅইন্ড চ্ছে বঙ্গবন্ধু, সেই হৃদপিন্ডের সম্মানহানী করার মত লোক যদি বাস্তবায়ন পরের গল্প স্রেফ কটুক্তি করে পাচ মিনিট সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, তখন শেখ হাসিনার সরকারের এতো উন্নয়ন দিয়া রাষ্ট, আওয়ামীলীগ তথা আগামী প্রজন্মের কি লাভ হবে ? দেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চার নীতির চর্চা আছে ? আগামীদিনে থাকবে ?
আর থাকবে কি করে ? ওদের সংখ্যা দেখেই আওয়ামীলীগের বুদ্ধিদাতা পরামর্শক প্যানেল হেগে মুতে কাপড় ভাসিয়ে ফেলেছে। না হলে, কেন এইসব নীতি নির্ধারনী পরামর্শকেরা বুঝতে পারে না, ঢাকা শহরে ২০১৩ সালের ৫ই মে যতটা লোক হয়েছিলো, এটাই ওদের ফিগার, এমনকি গত কয়েকদিন আগে যারা এসেছিলো এটাই তাদের ফিগার… সংখ্যা কত হবে ? ৩০-৩৪-৫০ লাখ… তোর ১৮ কোটির মধ্যে এর % কত ? ধরেন এই ৫০ লাখ লোক যদি এই দুনিয়াতেই না থাকে, তাহলে কি বাংলাদেশের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে ? যদিও ৫০ লাখ দুনিয়া থেকে বিদায় করার দরকার নাই, ডজন কয়েক বিদায় করে দিলেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। আমরা সেদিকে যাচ্ছি না কেন ? আগামির প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কি কোন দ্বায় নাই ? ধর্মের ঢালে, ধর্মের নামে অসভ্য, বর্বর, জল্লাদেরা নানান ধরনের বাধা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে, তখন আমরা উউনত দেশের উন্নতত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো ?
ধরেন কোন কারনে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ক্ষমতার পর্ব শেষ হলো, সেই বাংলাদেশের কি হবে ? সেই বাংলাদেশ কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শ ধারন করা বাংলাদেশ থাকবে ? সেই বাংলাদেশে কি বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য থাকবে ? সেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অস্তিত্ত্ব রাখবে ওরা ? সেই বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, অমুক লীগ, তমুক লীগ, বা আজকে যারা ধর্ম ব্যবসায়ীদের কে না ঘাটানোর পরামর্শ দিচ্ছে অর্থ্যাৎ আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারনী আমলা কামলাদের কথা বলছি, তারা তখন কার পক্ষে থাকবে ?
আসলেই মাঝে মধ্যে নিজেরে খুব ইডিয়টস মনে করি, হুদাই কি বালের হাউ কাউ করি কিছু মাথায় ঢুকে না।
বিশ্বাস করি রিষ্ক আওয়ামীলীগকেই নিতে হবে, আওয়ামীলীগের আর হারানোর কিছু নেই, কি হবে, না হবে এইসব ভাবনা ছেড়ে দিয়ে আগামীর একটি নির্ভেজাল রাজাকার শাবক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কানে তুলা দিয়ে, ধর্ম ব্যবসায়ী দোকানদারের রাজনীতি বন্ধ করার ঘোষনা স্পষ্ট করে দিতে হবে, আবেগ নুনুভুতির মায় রে বাপ বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মের চর্চা চলবে, মোটেও জামাতে ইসলামীর চর্চা চলবে না, পথে ঘাটে মাঠে ধর্ম ব্যবসায়ী ওয়াজী জামাতে ইসলামের চর্চাকারী, রাজাকার সাইদিকে আলেম বিশ্বাসকারী কোন বর্তমান আলেমের ওয়াজ ব্যবসা চলবে না, কথায় কথায় ধর্ম অবমাননার হুজুগ তুললেই উপযুক্ত প্রমান ছাড়া কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, ধর্ম কর্ম ছাড়া কোন আলেম ওলামা অন্য কোন বিষয়ে নাক গলাতে পারবে না। সোজা কথা ধর্ম পবিত্র জিনিস, ধর্ম ধর্মের জায়গায় থাকবে। অন্য কোন জায়গায় ধর্মের দোহাই, গ্রন্থের দোহাই, নবীর দোহাই চলবে না। যারা এইসব করবে তাদের কে দুনিয়া থেকে দোজখে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
যদিও আওয়ামীলীগ এখন যেই জায়গায় আছে সেখান থেকে এইসবের বাস্তবায়ন করবে না। আর না করলে এরপরের সত্যটুকু হলো, আগামীর বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে একটি তালেবানী রাষ্ট। তাও আবার মোট জনসংখ্যা মাত্র ১-২% লোকের দাপুটে ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদীদের কারনে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।