ঢাকাশুক্রবার , ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভুল বানানে হলেও লিখো এক খানি চিঠি।

তাজুল ইসলাম কামরুল
নভেম্বর ১৪, ২০২৫ ১১:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

” ডাক পিয়নের হাজার চিঠির ভীড়ে
তোমার চিঠি আসবে কি গো
আমার কাছে ফিরে?
কোথায় আছো তুমি কেমন আছো
নাকি হারিয়ে গেছো প্রলয়ও ঝড়ে।”
প্রিয়জনের নিকট থেকে চিঠি পাওয়ার যে আকুতি, যে প্রতীক্ষা,সেই কথাগুলো যেন শিল্পী মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেছেন। দুইযুগ পূর্বেও প্রিয়জনকে চিঠি লিখার, চিঠি পাওয়ার যে ব্যাকুলতা ছিল। তাহা আজ ঝরা পাতার মত ক্ষণস্থায়ী।
মনের কোণে জমে থাকা সেই কথাগুলো, এখন হোয়াটসঅ্যাপ ,ইমু, মেসেঞ্জার,ভাইবার তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে, পৃথিবীর যেই কোন প্রান্তে নিমিষেই পৌঁছে যায়। ভাসিয়ে যায় ইথার তরঙ্গের মাধ্যমে। এখন আর অপেক্ষায় থাকতে হয় না সে ডাক পিয়নের, যিনি চিঠির ঝুলি নিয়ে আলখাল্লা পরে,
সাইকেলে টুংটাং শব্দ করে, আসতেন প্রাপকের আঙিনায়।
ডাক মাধ্যম চিঠি পাওয়া বেশ আনন্দের ছিল। তাহা বারবার পড়া হতো, চিঠির প্রত্যেকটি শব্দ হৃদয়ে দাগ কাটতো। আনন্দ কিংবা বেদনার দাগ। সে দাগ থাকতো সকলের হৃদয়ে দীর্ঘস্থায়ী।
এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা হৃদয়ের অনুভূতি গুলো একে অপরের নিকট দ্রুত পৌঁছেদি। উৎকণ্ঠা নিয়ে আর অপেক্ষায় থাকতে হয় না। তেমনি ভাবে ততই দ্রুত প্রাপকের স্মৃতির পান্ডুলিপি থেকে মুছে যাচ্ছে আবেগ আর ভালোলাগা । জমা থাকছে না তেমন কোন অনুভূতি।

একসময় ডাক, ডাক বাক্স এবং পোস্টকার্ড ছিলো হৃদয় নিংড়ানো,গভীর আবেগ এবং অনুভূতির প্রতীক। যেখানে মানুষ গভীর অনুভূতি ও আবেগ মিশিয়ে চিঠি লিখে ফেলে যেত। আর ডাক বক্সটাও যেন হৃদয়ের দ্বার খুলে দিয়ে সযত্নে তাহা লুকিয়ে রাখতো। সময়ের নির্দিষ্টতায় ডাক পিয়ন এসে নিয়ে যেত প্রাপকের উদ্দেশ্যে।
মানুষ প্রিয়জনের কাছ থেকে চিঠির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত, যা ছিল হৃদয়-স্পর্শী । প্রযুক্তির এই যুগে ডাকবক্স অনেকটাই বিলীন হয়ে গেছে। শহর কিংবা গ্রামে চৌরাস্তার মোড়ে দু একটি ডাকবক্স দেখা গেলও, ধুলোবালি আর বনলতা এসে ঘিরে ফেলেছে। বুঝার উপায় নেই ইহা একটি ডাকবক্স।
চিঠি, ডাকবক্স এক সময় হারিয়ে যাবে, তা যেন কবি আগেই জানতেন। এজন্য হয়তো হৃদয়গ্রাহী দিয়ে লিখেছেন :
” করুণা করে হলে চিঠি দিও/খামে ভরে তুলে দিও
আঙুলের মিহিন সেলাই।/ভুল বানানেও লিখো প্রিয়/ বেশি হলে কেটে ফেলো তাও।/এটুকু সামান্য দাবি চিঠি দিও/তোমার শাড়ির মতো অক্ষরের পাড়-বোনা একখানি চিঠি।”
সকল চিঠি কিন্তু নিছক নয়। চিটির মাধ্যম আত্ম সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিষয় নিয়েও লিখা হতো। কিছু কিছু চিঠি আমাদের সাহিত্য ভান্ডার কে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,কাজি নজরুল ইসলাম এর চিঠি। আব্রহাম লিংকন তাঁর পুত্রের জন্য শিক্ষক এর নিকট চিঠি। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর তাঁর স্ত্রীকে লেখা শেষ চিঠি টা নিশ্চয়ই অনেক পড়েছেন। চিঠিটি এখনো আন্দোলিত করে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।