মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। এছাড়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের পদের বৈধতা নিয়েও রুল দেয়া হয়েছে। দুই এমপির বিরুদ্ধে দুটি রিটের শুনানি শেষে এই রুল দিয়েছে উচ্চ আদালত।
মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে কারাবন্দি আছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। এদিকে ঢাকায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এসএসসি পাস না করলেও নির্বাচনি হলফনামায় দেখিয়েছেন স্নাতকোত্তর পাস। এছাড়া সিয়েরা লিওনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির কথাও লিখেছেন তিনি। শিক্ষাগত যোগ্যতার এই তথ্য চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী আবুল ফয়েজ ভুঁইয়া।
মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে পাপুলের সংসদ সদস্য পদ কেনো বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে রুল দেয় আদালত।
অন্যদিকে, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদের পদ কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। ওই মামলায় গেল বছরের ১০ অক্টোবর এমপি হারুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে ঢাকার বিচারিক আদালত। তবে এখন জামিনে আছেন তিনি।
জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সংসদ সচিবালয়ের সচিবসহ ৭ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।