করোনা পরিস্থিতির কারনে বিআরটিএ গত ৬ মাস ধরে বন্ধ রেখেছে অ্যাপ ভিত্তিক সকল রাইডিং সার্ভিস। কিন্তু সরজমিনে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। বিআরটিএ এর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই মোটর সাইকেল চালকরা অ্যাপে নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে চুক্তিভিত্তিক যাত্রী বহন করছেন। এতে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন যাত্রীরা। চালকরা বলছেন একপ্রকার বাধ্য হয়েই এভাবে যাত্রী বহন করতে হচ্ছে তাদের। বিআরটিএ-এর অনুমতি ছাড়া কেন এভাবে যাত্রী বহন করতে হচ্ছে তা জানতে চাইলে দৈনিক অপরাজিত বাংলাকে চালকরা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারনে গত ৬ মাস রাইড শেয়ারিং পরিসেবা বন্ধ হবার কারনে লক্ষ লক্ষ চালক বেকার হয়ে পড়েছেন, জীবিকা জীবনে পরেছে মারাত্মক প্রভাব। তারা আরও জানান, প্রত্যাশিত যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না অ্যাপস চালু না হবার কারনে।
এদিকে, রাইড শেয়ারিংয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি সর্বাধিক নিশ্চিত করা যায়, এমন দাবি তুলে যত দ্রুত সম্ভব এই সেবা কার্যক্রম চালুর আহ্বান প্ল্যাটফর্মগুলোর।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, উবার, পাঠাও, ও-ভাই, সহজসহ রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর চালকরা। অ্যাপ সেবা না থাকার কারনে চুক্তিভিত্তিক চলছে এসব শেয়ার রাইড পরিসেবা।
উল্লেখ্য যে, করোনা সংক্রমন শুরু হবার পর থেকে চলতি বছরের ২৬শে মার্চ মাস থেকে সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলা বাধ্যতামূলক করার জন্য বিআরটিএ দেশের সকল অ্যাপস ভিত্তিক রাইডিং শেয়ার স্থগিত করে। এ অবস্থায় বেকার হয়ে পড়ে দু’লক্ষ্যাধিক চালক, আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ পেশার চালকরা। কিন্তু আরও বিপাকে পড়েছেন সাধারন যাত্রীরা, তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেরাই সংকিত। তবে করোনা পরিস্থিতির কারনে বিআরটিএ কর্তৃক সব শেয়ার রাইডিং এর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সীমিত আকারে প্রাইভেট কার, জিপ, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বিআরটিএ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় চুক্তিভিত্তিক যেসব বাইক চলছে বলে অভিযোগ আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ।