ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৭ আগস্ট ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গণভবনের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অটো প্রমোশনের ইঙ্গিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২৭, ২০২০ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে নোয়াখালীর এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথোপকথনের সময় ক্লাস শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তায় বাড়িতে বসেই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে পরের শ্রেণিতে অটো প্রমোশনের ইঙ্গিতও দেন সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদিন পর্যন্ত স্কুল নাই, ক্লাস নাই। পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। আসলে এতে ক্ষতি হলেও তো কিছু করার নাই। কারণ করোনায় সারাদেশ ভুগছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলবো, অন্তত বই তো সাথে আছে, একটু পড়াশোনা করুক।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, এরপর আমরা দেখি কি করা যায়। কারণ সামনেই তো ফাইনাল পরীক্ষা। পরীক্ষা তো হচ্ছে না, তাই আরো কি করা যেতে পারে বা প্রমোশনটা দিয়ে বরাবরের মত যেন চলতে থাকে সেটার চেষ্টাই করছি।
এসময় গণভবনের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ১১টি গ্রিড উপকেন্দ্র, নতুন ৬টি সঞ্চালন কেন্দ্র ও ৩১ উপজেলার শতভাগ বিদ্যুৎ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিদ্যুৎ বিভাগের বেশকিছু প্রকল্প উদ্বোধনের সময় অনেকটা আক্ষেপের সুরেই বলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো বিশেষ এলাকা বা অঞ্চলে সেবা দিতে অবহেলা করে না ।

সম্প্রতি বগুড়া ও নোয়াখালীতে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া, দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম ভিডিও কনফারেন্সে চালু করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর মধ্যে বগুড়ায় নির্মিত ১১০ মেগাওয়াট উৎপাদনে সক্ষম বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে কনফিডেন্স পাওয়ার এবং নোয়াখালীতে ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে এইচএফ পাওয়ার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে তার সরকার।

এ সময়, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে বিগত বিএনপি সরকার শাসনামলের বিভিন্ন ইস্যু। তিনি বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকতে, বাজেট দেওয়ার সময় খুব গালগল্প দিতো- এটা দেবো, ওটা দেবো। আর পরে সেই টাকাগুলো কেটে নিয়ে চলে যেতো !’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যখন গোপালগঞ্জে যেতাম, তখন সারাদিনই বিদ্যুৎ পেতাম না। জেনারেটর অথবা হারিকেন জ্বালিয়ে কাজ করতে হতো। এই ছিল অবস্থা!’

আক্ষেপের সুরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘আমরা কিন্তু যখন উন্নয়ন করি। তখন কিন্তু আমরা নির্দিষ্ট কোনো জায়গাকে অবহেলা করি না। আজকে আপনারা সেই দৃষ্টান্ত পাচ্ছেন যে, বগুড়ায় ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আমরাই করেছি এবং সেইটা আমরা আজ উদ্বোধনও করলাম।

এই অনুষ্ঠান থেকে ২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন ১১টি গ্রিড উপকেন্দ্র, ৬টি সঞ্চালন লাইন ও ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচিরও।

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।