দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে লাইসেন্স না থাকায় অবৈধভাবে বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদান করার অপরাধে রিন নার্সিং হোম ক্লিনিককে সিলগালা করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম একজন ভুয়া নারী চিকিৎসকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আটক হওয়া ভুয়া চিকিৎসক পাশ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নুরুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা রিমা আক্তার (২৪)।
আজ সোমবার দুপুরে ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার আজাদমোড়ে রীন নাসিং হোম ক্লিনিকে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এ সময় ডাক্তারি সার্টিফিকেট না থাকা সত্ত্বেও ওই নারীর নামের আগে ডাক্তার লিখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করার অপরাধে ওই নারী চিকিৎসকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
জানা যায়, কয়েকদিন আগে থেকে ভূয়া চিকিৎসক সৈয়দা রিমা আক্তার এবং তার স্বামী ডাক্তার পি কে শাহিন ঘোড়াঘাট আজাদমোড়ের একটি ৫ তলা ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলা ভাড়া নিয়ে কোন প্রকার লাইসেন্স না নিয়েই অবৈধ ভাবে রীন নার্সিং হোম নামে একটি ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছিল এবং সাধারণ চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি গর্ভবতী নারীদের অপারেশনের (সিজার) মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো হতো সেখানে।
এছাড়াও ওই ভূয়া নারী চিকিৎকের বৈধ কোন সনদ না থাকা সত্বেও নিজের নামের আগে অবৈধ ভাবে ডাক্তার লিখে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাতো। স্থানীয় অনেকে জানান, ডাক্তার পি কে শাহিন এর আগে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী এবং সাদুল্ল্যাপুর উপজেলায় নামে বেনামে অবৈধ ক্লিনিক পরিচালনার অপরাধে বেশ কয়েকবার জেল ও অর্থ দন্ডে দন্ডিত হয়েছিলেন।