ভারতের ধুবরী কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ২৫ বাংলাদেশী। ধুবরী আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কারাগারে আটক কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা ওই ২৫ শ্রমজীবীর দেশে ফিরে আসতে আর কোন বাঁধা রইল না। উল্লেখ যে, গত ৩ মে দেশে ফেরার সময় ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ভারতে যাওয়া ২৬ বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতের ধুবড়ি পুলিশ। এদের একজন ভারতে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বৈধ পাসপোর্ট ও ভ্রমণ ভিসা থাকলেও ভারতে দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন চলার মধ্যে গত ২ মে ওই ২৬ জন বাংলাদেশি দু’টি মিনিবাসে আসামের জোরহাট জেলা থেকে দেশে ফেরার উদ্দেশে রওনা দেন। পশ্চিমবঙ্গের চেংরাবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা ছিল তাদের। ভারতে জেলে ও খামারকর্মী হিসেবে কাজ করা এসব বাংলাদেশিকে পরদিন (৩ মে) সকালে বাহালপুর এলাকা থেকে আটক করে আসামের ধুবড়ি জেলা পুলিশ।
আদালতের এ আদেশের মধ্য দিয়ে, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার হলো। এখন অন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারা দ্রুত দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবরনে জানা যায় যে, আটককৃতরা বৈধ পাসপোর্ট ও তিন মাস মেয়াদের ভ্রমণ ভিসায় ভারতে গিয়েছিলেন। করোনার সময় লকডাউনের ফলে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ধুবড়ি পুলিশ তাদের আটক করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ২৬ বাংলাদেশি ভারতে যান।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর ও বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার ভিকটিম রেসকিউ কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন ২৫ বাংলাদেশীদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গৌহাটিস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার তানভীর মনসুর এবং ধুবড়ি আদালতের আইনজীবী ও আসাম ট্রিবিউনের সম্পাদক রাজর্ষী দাসগুপ্ত আদালতের আদেশের বিষয়টি তাকে নিশ্চিত করেছেন বলে অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান।
বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ভারত সরকারের প্রসিকিউশন মামলাটি কলঅফ করার সম্মতি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে সব পক্ষের আইনজীবীদের শুনানির পর ধুবড়ি আদালতের বিচারক জেলহাজতে আটক ২৫ বাংলাদেশিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন বলে জানান অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন।