কক্সবাজার জেলার মহেষখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার বন্দর নির্মাণ প্রক্রিয়ায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে আরো এক ধাপ অগ্রসর হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাপানের নিপ্পন কোয়ে যৌথ কোম্পানি এবং জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড যৌথ কোম্পানি দু’টিকে প্রকল্পটির পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দু’টির সাথে চুক্তির মাধ্যমে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পটির কার্যক্রমে আরো এক ধাপ অগ্রসর হচ্ছে।
আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সংক্রান্ত দু’টি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক জাফর আলম এবং জাপানের নিপ্পন কোয়ের (Nippon Koei) প্রতিনিধি নাওকি কুডো (Naoki Kudo) প্রকৌশলগত বিষয়ের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (বন্দর সংযোগ সড়ক অংশ) সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের (আরএইচডি) কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক মো. সাদেকুল ইসলাম এবং জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি শুনজি ইউশিহারা (Shunji Yoshihara) সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী যথাক্রমে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসাবে ভার্চুয়াল লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন, জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া (Yuho Hayakawa) বাংলাদেশস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইকি ইয়ামায়া (Hiroyuki Yamaya) উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে আমাদের অধিকার আরো বেশি শক্তিশালী হবে। সুনীল অর্থনীতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে মাতারবাড়ী বন্দর নতুন উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদ ও বঙ্গোপসাগরের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে মাতারবাড়ী বন্দর সহায়ক হিসাবে কাজ করবে।
মাতারবাড়ী বন্দরের প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম ২০২৬ সালে সম্পন্ন হবে। নির্মাণ সম্পন্ন হলে মাতারবাড়ী বন্দরে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে এবং বিশ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার নিয়ে জাহাজ ভিড়তে পারবে মাতারবাড়ী বন্দরে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়ী ও ধলঘাট এলাকায় বন্দরটি নির্মিত হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করবে।