হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল আবুধাবিতে যাওয়ার পর আবুধাবি বিমানবন্দরেই ৬৮ জন প্রবাসীকে আটকে দিয়ে দেশে ফেরৎ পাঠায় সে দেশের সরকার। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ৬৮ জন প্রবাসী বাংলাদেশি।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার ফ্লাইটে ২১৪ প্রবাসীকে নিয়ে আবুধাবি থেকে ফিরে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। এর মধ্যে ৬৮ জন বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো যাত্রী। তাঁদের ইমিগ্রেশন না করিয়েই বিমানের ফিরতি ফ্লাইটে করে ঢাকায় পাঠানো হয়।
গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ওই প্রবাসীরা আবুধাবি যাওয়ার পরে তাদের বিমানবন্দরে নামতে দেয়া হয়নি। ফলে তাদের হোটেলে রাখতে বাধ্য হয় বিমান। এছাড়াও একই কারণে আরো প্রায় আড়াইশ প্রবাসী সেখানে আটকা পড়েছে। তারা সবাই এয়ার অ্যারাবিয়া ও এমিরেটসের ফ্লাইটে করে সেখানে গিয়েছে। আজ সোমবার সকালে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। বিক্ষোভের একপর্যায়ে ফ্লোরে বসে পড়েন। বিক্ষোভের সময় হয়রানি ও আবুধাবিতে ফেরত পাঠানোর দাবিতে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন এসব প্রবাসী।
এদিকে বিনামূল্যে টিকেট প্রদানসহ পরে কোন ফ্লাইটে তাদেরকে আবুধাবি পাঠানো হবে সে বিষয় না জানা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন না বলে দাবী জানায়।
বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করতে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আশরাফুল আমিন মুকুট এসে আবুধাবী ফেরৎ সকলকে বলেন, পুনরায় তারা যাওয়ার অনুমতি পেলে টিকেটের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এতেও কোনো কাজ হয়নি। প্রবাসীরা তাদের দাবিতে অনড়। এ বিষয়ে ক্যাপ্টেন তৌহিদুল আহসান জানান, প্রবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করানো হচ্ছে।
এর আগে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় বাংলাদেশ বিমান বা কোনো কর্তৃপক্ষের দোষ নেই। আবুধাবির আইডেন্টিটি সিটিজেনশিপ অথরিটির অনুমোদন না থাকায় সেদেশের ইমিগ্রেশন বোর্ডিং ওকে করার পরেও তাদের প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। ১০ আগস্টের পর আইসিএ অনুমোদন লাগবে না বলে দেশটি জানালেও পরে আবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিক্ষেভকারীদের কেন ফেরৎ পাঠানো হয়েছে তা জানতে চাইলে ভুক্তভুগীরা দৈনিক অপরাজিত বাংলাকে জানায়, তাঁরা যেসব কোম্পানি বা এজেন্সির মাধ্যমে আবুধাবিতে গিয়েছিলেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আবুধাবি সরকার বাতিল করে দেয়। এ কারণে দেশটিতে তাঁদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।