ঢাকাশনিবার , ২৫ জুন ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ

তো কথা হচ্ছে সিলেটের বন্যা নিয়ে….

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৫, ২০২২ ১১:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বন্যা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় কারো কারো জন্য মহা সর্বনাশ হলেও, অনেকের জন্য আশির্বাদ, নাম ডাক কামানোর, টাকা কামানোর, ফেসবুকে লাইক কমেন্টে মানবতাবাদী হওয়ার জন্য।
তো কথা হচ্ছে সিলেটের বন্যা নিয়ে….
যদিও ইহা একটি অভিজাত এলাকার বন্যা। ধরেন ঢাকার গুলশান বনানীতে বন্যা হলো, এমন অবস্থায় গুলশান বনানীর দুর্যোগগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়াতে চাদা তুললেন, জিনিসপত্র কিনে আপনি সাহায্য নিয়ে গেলেন, সাহায্য দিলেন, ছবি তুললেন, ভিডিও করলেন ফেসবুক ইউটিউব ইনষ্ট্রাগ্রামে আপলোড দিলেন। কোন কোন বাড়িতে একাধিক বার দিলেন, কিন্তু পাশে থাকা কড়াইল বস্তিতে গেলেন না কিংবা গেলেও একবারের বেশি না। প্রশ্ন হচ্ছে এটা কি বন্যার্তদের সাহায্য করার মানবিক মানবতার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে?
সিলেটে এটাই হচ্ছে। অভিজাত এলাকায় এক বাড়িতে একাধিকবার সাহায্য যাচ্ছে, কিন্তু একেবারে যেখানে যাওয়ার দরকার, ধর্মপাশা তাহিরপুরের মত প্রত্যন্ত এলাকায় কেউ যাচ্ছে না, আর কেউ গেলেও একবারের বেশি না। কারন যাওয়ার রাস্তা দুর্গম, আশা যাওয়া ব্যয়বহুল ও সময়ের দরকার, নেটওয়ার্ক নাই, ফেসবুক লাইভ হবে না ইত্যাদি। এমন অবস্থায় আমি যদি বলি ত্রানের নামে চাদাবাজী, ত্রান দিয়ে মানবিকতা প্রকাশ করার যে ঢং শুরু হয়েছে, ইহা লোক দেখানো ড্রামা ছাড়া আর কিছুই না৷ তাহলে কি খুব বেশি ভুল হবে?
যেখানে এইদেশের একটা ফ্রী ট্র্যাজেটি হচ্ছে, আপনি ৯ মণ ওজনের গরু জবাই করে মাংস রেডি করে ৩০০ জনের মাঝে বিতরন করলেও বিতরন শেষে শুনবেন কেউ কেউ পায়নি। সেখানে অমুকের ডাকে কোটি টাকা, তমুকের ডাকে কোটি টাকা, হুজুরেরা পায়জামা পাঞ্জাবী ছিড়ে ফেলছে সাহায্য করতে করতে ইহা যে কি পরিমান কমেডির মত মনে হচ্ছে তার একটা গল্প বলি আপনাদের।
দায় খয়রাত করি না যে, তা সত্য নয়। তবে দরকারী জায়গায় করি, আজাইরা জায়গায় করি না। কক্সবাজারের পাহাড় ধ্বসের কথা মনে আছে? আমি তখন একটা ব্লগের বেশ সমালোচিত ব্লগার। ব্লগ মডারেটর ব্যাক্তিগত ভাবে ফোন করে অনুরোধ করলো কক্সবাজারের পাহাড় ধ্বসে সাহায্য করবে ওরা আমার টাকা দিয়ে সাথে থাকতে হবে, শুধু সাথে থাকা নয়, ত্রান দেওয়ার সময় যেতে হবে কক্সবাজার। যতটুকু মনে পড়ে সব মিলিয়ে চাদা উঠছিলো ১ লাখ ৪০ হাজারের মতো, এর মধ্যে আমাদের ৭-৮ জনের কক্সবাজারে আশা যাওয়া খাওয়া থাকা সব মিলিয়ে খরচ ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে পরিশোধ করে ত্রান বিতরন করতে পেরেছিলাম ৭০-৮০ হাজার টাকার মত। প্রশ্ন হচ্ছে এটা কি ধরনের মানবতা দেখাইলাম, ঘুরে এসেও বুঝতে পারলাম না।
সিলেটে টিম ত্রান, গ্রুপ ত্রান সাহায্যের নামে যা হচ্ছে বা চলছে তা ত্রান না বলে পিকনিক বলতে পারেন।
যাইহোক, সরকারী ত্রানের বিষয়ে অনুরোধ, অমুকে তমুকে কোটি টাকার বাল ছিড়া উল্টাইয়া দিলেও দিন শেষে ত্রানের সমন্নয় সরকারকে করতে হবে, অতি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ যেন ত্রান বঞ্চিত না হয় সেটা লক্ষ রাখতে হবে। কারন সরকারী ত্রান মায়ের বুকের দুধের পর্যায়ের, আর ব্যাক্তি গ্রুপ পিকনিক ত্রান বাপের নুনু চুষে খাওয়ার মতো।
শেষ কথা গত কয়েকদিক আগে প্রকাশিত বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্র জেলা কুড়িগ্রামের অবস্থা সিলেটের চেয়ে খারাপ, কুড়িগ্রাম বিষয়ে সরকারী ত্রানের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা অনুরোধ রইলো।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।